নিউজ পোল ব্যুরো: তিনি জীবিত কি না, মাসখানেক আগে এটাই ছিল প্রশ্ন। আর এবারে পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) সঙ্গে জড়িয়ে গেল লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) নাম। ২৬/১১ -এর চক্রী ছিলেন হাফিজ। আর এবারে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার সঙ্গেও তাঁর নাম জড়াতে নড়েচড়ে বসল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) এবং লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-E-Taiba)। সূত্রের খবর, লাহোরে হাফিজের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Pakistan : নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পাকিস্তান! ভারতের ভয়ে নিল বিরাট সিদ্ধান্ত
পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) নাম জড়াতেই তাকে টার্গেট করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে নিয়েছিল লস্করের ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। কিন্তু পরবর্তীতে তারা তা অস্বীকার করে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে একের পর এক ভারতবিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নেতাকে গুপ্তহত্যা করা হয়েছে। এই আবহে হাফিজকে নিয়ে পাকিস্তান কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি হাফিজের বাড়ি এবং তাঁর অনুসারীদের গতিবিধি নিয়ে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছিল। এরপরই তার বাড়ির ৪ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে হাই রেজোলিউশনের সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি চালানো হচ্ছে ড্রোন নজরদারি। এছাড়া পুলিশ, আধাসেনা এবং সশস্ত্র লস্কর বাহিনীও এলাকায় টহল দিচ্ছে এলাকায়।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
তাহলে কি সত্যিই পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত হাফিজ সঈদ (Hafiz Saeed)? আর তাই তিনি যে কোনও মুহূর্তেই গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন? ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু কাশ্মীরের লস্করের সমস্ত ছায়া সংগঠন হাফিজের ছায়াতেই বেড়ে উঠছে। এমনকি সংগঠনগুলিকে প্রযুক্তিগত সাহায্যও করেন তিনি। এই বিষয়ে ডেপুটি সইফুল্লা কাসুরি তাঁকে সাহায্য করে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কাসুরির কোনও খোঁজ মেলেনি।