Dilip Ghosh : “আমি বিজেপির নেতা ছিলাম এখন সারা সমাজ আমাকে নেতা বলে মানছে…”, দিলীপের মন্তব্য নয়া জল্পনা

breakingnews কলকাতা রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: কলকাতায় থাকলে রোজই নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সকালে ইকো পার্কে শরীর চর্চা আর তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়া বিজেপি নেতার (BJP Leader) অন্যতম কর্মসূচি। তবে এদিন যে ঘটনা ঘটল তা নতুন করে ফের উস্কে দিচ্ছে জল্পনা। এদিন ইকো পার্কে দিলীপ ঘোষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন রাজারহাট নিউটাউন তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য মহম্মদ আফতাব উদ্দিন। দিলীপ ঘোষকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানান এই স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। যার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ বলেন, “আমাদের পাড়ার ছেলে। আগে গো ব্যাক বলত। এখন ফুল দিচ্ছে। এখন সবাই যদি আমাকে নেতা বলে মেনে নেয়। আমি বিজেপির নেতা ছিলাম। এখন সারা সমাজের লোক, বিভিন্ন পার্টির লোক আমাকে নেতা মানছে। আমি জানি না আমার মধ্যে কী যোগ্যতা দেখতে পেয়েছেন। তাদেরকে শুভেচ্ছা আমার।”

আরও পড়ুনঃ Dilip Ghosh : “মমতা রাম মন্দিরে গিয়ে সৌজন্যে দেখাননি! আমি দেখিয়েছি”, সোজাসাপ্টা জবাব দিলীপের

এই ঘটনা, তদুপরি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) এহেন মন্তব্য যে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের গুঞ্জন উস্কে দিচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এরপরই নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাংবাদিকের একের পর এক প্রশ্ন সোজা ব্যাটে খেলে এই গুঞ্জন কার্যত দুর্বল করে দিয়েছেন দিলীপ। প্রথমেই তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয় শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) মন্তব্য নিয়ে। শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “আমাদের দলে এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। রাজনৈতিক দলে থাকতে হলে দলের প্রতি আনুগত্য থাকতে হয়।” এর জবাবে দিলীপ এদিন জানান, “শমীকদা দলের মুখপাত্র। উনি যেটা বলেছেন সেটা দলের বক্তব্য। এর আগে মাননীয় সভাপতি যে কথা বলেছিলেন সেটাই উনি এবার বললেন। সুতরাং এ নিয়ে আর কোনও কথাই থাকতে পারে না।”

তবে শুধু শমীক ভট্টাচার্যই নন। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। সাম্প্রতিক সময়ে দিলীপের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে জিয়ারুল হককে। যে প্রসঙ্গে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বিস্ফোরক মন্তব্য, “কে এই জিয়ারুল? তিনি একটা স্মাগলার। তৃণমূলের সাগরেদ।” এই মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “জিয়ারুলের মত ১ হাজারেরও বেশি লোককে আমি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছি। কারণ যে দল সরকারে থাকে তারা রেকমেন্ড করে নাম পাঠিয়ে।”

Dilip Ghosh

১১ দিন ধরে পাকিস্তানের হাতে হুগলির বিএসএফ জওয়ান। এবার পাল্টা ভারতের হাতে পাক রেঞ্জার। রাজস্থান সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতেই বিএসএফের হাতে পাকড়াও করা হয় তাঁকে। এই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন রাখা হয় দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কাছে। তাতে তিনি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। আর রাজস্থানে মরুভূমি এলাকায় তো অনেক সময় সীমানা বোঝাই যায় না। এর আগে আমরা পাইলটকেও নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছি। সরকার এটা নিয়ে কাজ করছে। আমার মনে হয় দুজনেই সুরক্ষিতভাবে নিজের দেশে ফিরবেন।” অন্যদিকে ১৯৮০ সালে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে আসা পাক নাগরিক ফতেমা বিবির চন্দননগরে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এরকম লক্ষ লক্ষ লোক ভারতবর্ষে আছে। বাংলাদেশ থেকে তো কোটি কোটি লোক পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই এ দেশে চলে এসেছে। তারপর এখানে থাকছে। আজকে কমসে কম পাকিস্তানিদের দিয়ে শুরু হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ওপরেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এছাড়া শিলিগুড়ির মাটিগাড়া সেনা ক্যাম্পে আচমকা ঢোকার চেষ্টা করা আফগান নাগরিকের। গ্রেফতার করল পুলিশ।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr

সম্প্রতি শিলিগুড়ির মাটিগাড়া সেনা ক্যাম্পে এক আফগান নাগরিকের আচমকা ঢোকার চেষ্টার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে সরকার তদন্ত করে দেখবে। তবে সাধারণ মানুষেরা সতর্ক থাকা উচিত।” এদিকে মালদায় রেলের জমিতে তৃণমূলের কার্যালয়ের ওপর চলল বুলডোজার। গুঁড়িয়ে দেওয়া হল দুলাল সরকার খুনে ধৃত, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির অফিস। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ বলেন, “সারা বাংলায় তৃণমূলের হাজার হাজার কার্যালয় এভাবেই বেআইনিভাবে জমি দখল করে হয়েছে। আমি তো বলছি, তৃণমূলের যে হেড অফিস আছে সেটাও বেআইনিভাবে জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে। কব্জার রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। ফলে গোটা সমাজে গুন্ডাগিরি, মাফিয়াগিরি ব্যাপক হারে চলছে।”