নিউজ পোল ব্যুরো: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Terror Attack) পরই নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কার্যত ফ্রি হ্যান্ড-ই দিয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীকে। এই অবস্থায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে তৎপর হল সেনা। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনা (Indian Army) এমন ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে যা শত্রুর যুদ্ধবিমান বা ড্রোন নিমেষে এবং ধ্বংস করতে সক্ষম এবং একইসঙ্গে তা কাঁধে বহন করা যাবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই ক্ষেপণাস্ত্র ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে থাকা ড্রোন বা যুদ্ধবিমানকে রুখে দিতে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। আর তারপর থেকেই ভারতীয় সেনা (Indian Army) সম্পূর্ণ প্রস্তুত যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য। এই পরিস্থিতিতে ৬ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে থাকা ড্রোন বা যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম, কাঁধে বহনযোগ্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাওয়া যে কার্যত ব্রহ্মাস্ত্র পাওয়ারই সামিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও শুধু এই বিশেষ প্রকার ক্ষেপণাস্ত্র নয়, সেইসঙ্গে ভারতীয় অস্ত্রভাণ্ডারের শক্তি বৃদ্ধিতে আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে
সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার (Indian Army) জন্য ৪৮টি লঞ্চার, ৪৮টি রাত্রিকালীন অত্যাধুনিক চশমা, ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য একটি কেন্দ্র গড়ারও দরপত্র হেঁকেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আগামী ২০ মে তারিখের মধ্যে ইচ্ছুক সংস্থাকে দরপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে একটি নির্দেশিকায়। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে কোনও ত্রুটি বা খামতি রাখতে চায় না তা জলের মতই স্পষ্ট।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘আকাশপথে ধেয়ে আসা যে কোনও রকমের হুমকি প্রতিরোধের জন্য ‘ম্যান পোর্টেবল সিস্টেমের’ (Man Potable System) ঘাটতি আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। সেই ঘাটতি পূরণেই দরপত্র জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।” বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থায় অবশ্যই ‘অ্যান্টি-জ্যামিং’ (Anti Jamming) বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। পাশাপাশি সমতল, মরুভূমি কিংবা সাড়ে ৪ হাজার মিটার উঁচু এলাকা, যে কোনও জায়গা থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
উল্লেখ্য, এর আগেও এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা। পূর্ব লাদাখে চিনের লড়াইতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন অস্ত্র-চুক্তি হয়েছিল ভারতের। সেই চুক্তি অনুসারে ভারতীয় সেনাকে ‘ইগলা-এস’ (Igla-S) নামে স্বল্প পাল্লার বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠায় রাশিয়া। এবারেও একই ধরণের স্বল্প পাল্লার বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারতের সেনাবাহিনী।