নিউজ পোল ব্যুরো: নিশানা এবার আকাশপথে! শত্রুপক্ষের চোখে পাঞ্জাব ও গুজরাটের চার গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি (India Pakistan War)। শুক্রবার গভীর রাতে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে একাধিক ড্রোন (Drone) ও ক্ষেপণাস্ত্র (Missile), লক্ষ্যবস্তু উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ এবং ভাটিন্ডা এয়ারবেস। আক্রমণ এতটাই আচমকা ছিল যে কিছু সেনাকর্মী আহত হন এবং কিছু সামরিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: India Pakistan Conflict: পাকিস্তানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হানায় উত্তপ্ত কাশ্মীর, শহীদ আধিকারিক
ভারত এই হামলার (India Pakistan War) উপযুক্ত জবাব দিতে সময় নষ্ট করেনি। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কর্নেল সুফিয়া কুরেশি (Sufia Qureshi) এবং উইং কমান্ডার বোমিকা সিং (Bomika Singh) জানালেন, পাকিস্তানের (Pakistan) লাগাতার উসকানির জবাবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীও পাল্টা আঘাত হানে। শত্রু ঘাঁটিগুলির মধ্যে ছিল রাফিকুই, মুরিদ, চকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়া—যেখানে নির্দিষ্টভাবে নিশানা করা হয় কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, অস্ত্রাগার এবং রাডার সাইট।
শুধু তাই নয়, পাসরুরের রাডার সাইট ও শিয়ালকোটের (Sialkot) বিমানঘাঁটিতেও আক্রমণ চালানো হয় অত্যন্ত পরিমিত এবং কৌশলগত অস্ত্র দিয়ে। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধ চায় না, কিন্তু নিজের সুরক্ষায় বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। এই হামলা-পাল্টা হামলার (India Pakistan War) মধ্যেই উঠে এসেছে এক ভয়াবহ সত্য—শুধু সেনাঘাঁটি নয়, পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে স্কুল, হাসপাতালের মতো অসামরিক স্থাপনাতেও।
ভারতের কূটনৈতিক মহল এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি এর পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে জবাব আরও কঠোর হবে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, আকাশপথে হাই-স্পিড মিসাইল ব্যবহার করায় বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তান সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তবে ভারতীয় সেনার প্রযুক্তি এবং প্রস্তুতি যে কোনও মুহূর্তে প্রতিপক্ষকে জবাব দিতে প্রস্তুত, সেটাই এবার প্রমাণ হল। এই সংঘর্ষের আবহে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জারি হয়েছে চরম সতর্কতা। আকাশপথের নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা কখনও আপস করতে শেখেনি।