নিউজ পোল ব্যুরো: দীর্ঘদিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাঝে অবশেষে আলোড়ন তুলল এক নতুন আশার আলো। ২০২২ সালে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine Peace) পর এই প্রথমবার কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই মুখোমুখি আলোচনায় বসল দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তুরস্কের (Turkey) ইস্তানবুল (Istanbul) শহরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে (Russia Ukraine Peace) আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Zero Tarrif: ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ফের মুখ খুললেন ট্রাম্প, শুল্কছাড় প্রসঙ্গে নতুন দাবি
আলোচনার প্রস্তাব এসেছিল সরাসরি মস্কো থেকে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) নিজেই আলোচনার দিনক্ষণ নির্ধারণ করে কিয়েভকে আমন্ত্রণ জানান। যদিও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি (Zelensky) শুরুতেই শর্ত দেন, প্রথমে চাই সংঘর্ষবিরতি, তবেই আলোচনা সম্ভব। তারপরেও সংশয় ছিল, শেষ মুহূর্তে হয়ত পিছু হটবেন রুশপক্ষ। কিন্তু সমস্ত আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে ঠিক নির্ধারিত সময়েই হাজির হয় রাশিয়ার প্রতিনিধি দল, নেতৃত্বে পুতিনের প্রধান উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেডেনস্কি (Vladimir Medensky)।
ইউক্রেনের (Ukraine) পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তম উমেরভ। যদিও শোনা যায়, জেলেনস্কি নিজেও তুরস্কে (Turkey) ছিলেন, তবে আলোচনায় প্রত্যক্ষভাবে যোগ দেননি। বৈঠকের প্রথম ধাপে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় উভয়পক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়, দুই দেশ মিলিয়ে মোট ১,০০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তারা স্ব স্ব দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
যুদ্ধবিরতির (Russia Ukraine Peace) বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, এই প্রথম ধাপকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে বিশ্বরাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বন্দিমুক্তি এক বড় পদক্ষেপ।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনার টেবিলে পুতিন ও জেলেনস্কির সরাসরি মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আন্তর্জাতিক মহলের আশা, এই আলোচনাই হয়ত যুদ্ধের অবসানে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে।