নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের (India Bangladesh) একাধিক পণ্যের স্থলপথে আমদানি (Import) নিষিদ্ধ করেছে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নতুন এই বিধিনিষেধ অনুযায়ী, বাংলাদেশের (Bangladesh) তৈরি পোশাক এখন থেকে কেবল মুম্বই (Mumbai) ও কলকাতা (Kolkata) বন্দরের মাধ্যমে জলপথে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। পাশাপাশি ফল, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলো, সুতো, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং কাঠের আসবাবপত্র ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি (Import) করা যাবে না। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি বন্দরেও এসব পণ্যের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: India-Pakistan: তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক রাজনাথের! এবার কি বড় প্রত্যাঘাতের ছক?
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (India Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, ভারতের পদক্ষেপ সম্পর্কে এখনও আনুষ্ঠানিক কিছু না জানলেও, দুই দেশের (India Bangladesh) মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খোলা রয়েছে।
জিটিআরআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাংলাদেশের (Bangladesh) এ ধরনের পণ্যের বার্ষিক রফতানি মূল্য প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। ফলে এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রফতানি খাতে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে।
তবে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও চুনাপাথরের মতো পণ্যে স্থলপথে আমদানি (Import) বন্ধ হয়নি। এছাড়া নেপাল (Nepal) ও ভুটানের (Bhutan) দিকে ভারতের ট্রানজিট ব্যবহার করে যেসব বাংলাদেশি (Bangladesh) পণ্য যায়, সেগুলোও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এই বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগ এবং ভারতের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অবসানের পর থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভারতের উদ্বেগও এই সংকটকে গভীরতর করেছে। তারই প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে ভারতের এই নতুন বাণিজ্য নীতিকে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের জন্যই সমঝোতা ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে স্থিতিশীল বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।