নিউজ পোল ব্যুরো: ভারত (India) শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে না। সাফ বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শ্রীলঙ্কার (Shrilanka) এক তামিল নাগরিকের দেশত্যাগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (Justice Dipankar Datta) এবং বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রনের (Justice K Vinod Chandran) বেঞ্চ কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, “ভারত কোনও ধর্মশালা নয় (India is not a Dharamshala), যে এখানে বিশ্বের সমস্ত শরণার্থীরা এসে থাকতে পারেন। আমাদের দেশের জনসংখ্যাই ১৪০ কোটির বেশি।”
আরও পড়ুন: India Bangladesh: স্থলপথে ‘লকডাউন’ ভারতের! রপ্তানিতে ধাক্কা খেল বাংলাদেশ!
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার (Srilanka) ওই তামিল নাগরিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল। এলটিটিই-এর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে বহু বছর হেফাজতে রাখা হয়। নিম্ন আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়, যা পরবর্তী পর্যায়ে মাদ্রাজ হাই কোর্ট (Madras High Court) কমিয়ে ৩ বছরে নামিয়ে আনে এবং শাস্তিভোগের পর দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেন।
আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, ওই ব্যক্তি বৈধ ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন এবং শ্রীলঙ্কায় (Srilanka) ফিরে গেলে তার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। উপরন্তু, তাকে দীর্ঘদিন ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া ছাড়াই আটক রাখা হয়েছে। তার স্ত্রী ও সন্তান ভারতে বসবাস করেন, তাই মানবিকতার খাতিরে তাঁকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হোক।
কিন্তু বিচারপতিরা বলেন, “ভারতের সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শুধুমাত্র দেশের নাগরিকরাই স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পান। অন্য কেউ এ দেশে এসে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারবেন না।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই রায় এমন এক সময়ে এল, যখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এর আগে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজি হয়নি। তাই শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।