নিউজ পোল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan) সীমান্তে তীব্র উত্তেজনার আবহে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের (Pakistan) দিক থেকে আসা সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন (Drone) হামলা ঠেকাতে অমৃতসরের পবিত্র স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্ররোধী বন্দুক বসানোর অনুমতি পেয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’কুনহা (Sumer Ivan D’Cunha) এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: PM Modi Sikkim Visit: লালফৌজের চোখ রাঙানিতে জবাব, সিকিম থেকে বার্তা দেবেন মোদী
তিনি জানান, শত্রুপক্ষের ড্রোন শনাক্ত করতে স্বর্ণমন্দিরের (Golden Temple) সমস্ত আলো সাময়িকভাবে নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবার ঘটেছে। এর ফলে রাতের আকাশে ড্রোন (Drone) শনাক্ত ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ অনেক সহজ হয়ে ওঠে। ডি’কুনহা (Sumer Ivan D’Cunha) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ তাঁরা আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।”
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্তের অটারী-ওয়াঘা পয়েন্ট থেকে স্বর্ণমন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার। গত ৭ ও ৮ মে রাতে পাকিস্তান থেকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হানা হতে পারে—এই আশঙ্কায় ভারতের সেনাবাহিনী ‘নিরাপত্তার ছাতায়’ ঘিরে ফেলে স্বর্ণমন্দির এলাকা। সেনার ১৫ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি (Kartik C Seshadri) জানান, অগ্রিম সতর্কতা ও প্রস্তুতির ফলে আক্রমণ ব্যর্থ হয় এবং ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থাপনায় সামান্যতম ক্ষতিও হয়নি।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই ঘটনার পেছনে প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর ভারত-পাক (India Pakistan Relation) সম্পর্ক চূড়ান্ত অবনতি ঘটায়। ৭ মে মধ্যরাতে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা শুরু করে। চারদিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর অবশেষে দুই দেশ শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায়। এই উত্তাল সময়েই সেনার দৃঢ়তা ও স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা এক নজির গড়েছে দেশের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে।