নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্রিটিশ প্যারেন্ট ডিজাইনিং কোম্পানি রেন্ডাল লিমিটেডের বিশেষজ্ঞরা ঐতিহাসিক হাওড়া সেতুর (রবীন্দ্র সেতু) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কলকাতায় পৌঁছেছেন। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য এই আইকনিক সেতুর দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর, যারা এই ঐতিহাসিক হাওড়া সেতুর দায়িত্বে রয়েছে। তারাই বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, এরজন্য ১৬ নভেম্বর রাতে এই সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত চার দশক বাদে প্রথমবারের মতো এই পরীক্ষা হচ্ছে। এবার এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রকের পরামর্শক সংস্থা RITES-এর কাছে। RITES সেতুর নক্সা ও অঙ্কন নথি, পরিদর্শন প্রতিবেদন, মেরামত ও শক্তিশালীকরণ প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য রেন্ডাল লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে হাওড়া সেতুর শেষ বারের মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সর্বশেষ পরিদর্শন করা হয়েছিল। এরপর থেকে সেতুটি ৪০ বছর ধরে একটানা পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। সেই সময়ে RITES, রেন্ডাল, পামার এবং ট্রিটনের সহযোগিতায় সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুপারিশ করেছিল, যা পরবর্তী কয়েক বছরে বাস্তবায়িত করা হয়। এবার ব্রিটেনের সিনিয়র উপদেষ্টা মাইকেল জে এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কিং অ্যান্ড ব্রিজ দলের নেতা ওমর নাবিল।
বুধবার, রেন্ডলের দল শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারম্যান এবং RITES প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এই সময়, দলটি সেতুর কাঠামোগত অবস্থা সম্পর্কিত প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে ও বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করে। প্রসঙ্গত, সেতুটি রেন্ডাল, পামার ও ট্রিটন দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। ব্রেথওয়েট, বার্ন ও জেসপের সাহায্যে ২৬,৫০০ মেট্রিক টন ইস্পাত ব্যবহার করে তা নির্মিত হয়েছিল।
এসএমপি চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন বলেন, ‘সেতুটি কয়েক দশক ধরে শক্তি ও উদ্ভাবনের প্রতীক। ভবিষ্যতেও এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে।’