নিউজ পোল ব্যুরো:অবশেষে অপেক্ষার অবসান!নির্বাচন কমিশন নদীয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের (Kaliganj by-election) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে,যা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে।আগামী ১৯ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং এর মাত্র চারদিন পর,অর্থাৎ ২৩ জুন,ফলাফল ঘোষণা করা হবে।২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ,যার অকাল প্রয়াণের পর থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি শূন্য ছিল।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/25/operation-sindoor-pm-modi-speech-india-counter-terrorism/
কালীগঞ্জ ছাড়াও দেশের আরও চারটি বিধানসভা আসনে একই দিনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে রয়েছে গুজরাতের কাদি ও বিসাবদর,পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম এবং কেরলের নিলম্বুর কেন্দ্র।এই উপনির্বাচনগুলির জন্য আগামী ২৬ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।প্রার্থীরা ২ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন, এবং ৩ জুন হবে স্ক্রুটিনি।মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ৫ জুন।
কালীগঞ্জের উপনির্বাচন (Kaliganj by-election) অবশ্য বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে উপনির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি তুলেছিলেন, এমনকি আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই এটি করানোর জন্য কমিশনকে চিঠিও দেন। এর পাশাপাশি, ‘ভূতুড়ে ভোটার’ সংক্রান্ত অভিযোগগুলি কালীগঞ্জের ভোটার তালিকাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি করেছিল। এই অভিযোগগুলির গুরুত্ব অনুধাবন করে নির্বাচন কমিশন দ্রুততার সঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করে। এই সমস্ত বিতর্ক ও জল্পনার আবহের মধ্যেই কমিশনের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা তাদের সময়বদ্ধতা ও নিরপেক্ষতাকেই তুলে ধরে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে উপনির্বাচন হতে চলা কেন্দ্রগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে। জুনের মধ্যেই উপনির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই এই উপনির্বাচনকে শুধুমাত্র একটি আসনের লড়াই হিসেবে দেখছেন না, বরং ২০২৬ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহড়া হিসেবেই গণ্য করছেন। এই উপনির্বাচনের ফল আগামী দিনের রাজ্য রাজনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে।