Newton Das controversy:কাঁটাতারের দুই পারের রাজনীতি:টিএমসিপি নেতার সঙ্গে নিউটন দাসের ঘনিষ্ঠতা,বাংলাদেশের আন্দোলনে ভারতীয় নাগরিকের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবি!

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:বাংলাদেশের সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনের মিছিলে হাঁটছেন কাকদ্বীপের নিউটন দাস (Newton Das controversy)! এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কারণ, নিউটনের নাম ভারতের ভোটার তালিকায় থাকলেও, তিনি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/08/amit-shah-tamil-nadu-2026-election-bjp-dmk/

স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউটনের জন্ম বাংলাদেশের এক গ্রামে। পরে তাঁর পরিবার কাকদ্বীপে আত্মীয়দের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। এখানেই পড়াশোনা করেন নিউটন। ২০১৪ সালে ভারতের ভোটার তালিকায় নাম ওঠে তাঁর। ২০১৭ সালে হারিয়ে যাওয়া ভোটার কার্ড পুনরায় ২০১৮ সালে বানান তিনি। তবে প্রশ্ন উঠছে, যখন নিউটনের মা-বাবা কেউই ভারতের ভোটার নন, তখন নিউটনের ভোটার হওয়া কীভাবে সম্ভব? নিউটনের দাদা তপন দাস স্বীকার করেছেন, তাঁর ভাই বাংলাদেশের ভোটার তো বটেই, জন্মসূত্রেই তা হয়েছে। কিন্তু তিনি এ দেশেও ভোটার, কারণ বহুদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। এটাই আরও বেশি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে—এক ব্যক্তি কীভাবে একসঙ্গে দুটি দেশের ভোটার হতে পারেন?

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বিতর্ক আরও বেড়েছে নিউটনের (Newton Das controversy) ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, টিএমসিপি নেতা দেবাশিস দাসের সঙ্গে কেক কাটছেন নিউটন। সেই ছবি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি নিউটনের রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে? যদিও দেবাশিস দাস দাবি করেছেন, স্কুলজীবনের বন্ধু নিউটন হঠাৎ ২০২১-২২ সালের দিকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জমি বিক্রির জন্য। শুধুই বন্ধুত্বের কারণেই জন্মদিনে কেক কাটা। এই পরিস্থিতিতে আরও এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে নিউটন দাবি করছেন—তিনি ২০২৪ সালে পূর্বপুরুষদের জমি সংক্রান্ত কারণে বাংলাদেশে যান। তখনই ‘জুলাই বিপ্লবের’ মধ্যে পড়েন এবং কিছু ছবি-ভিডিও তোলা হয়। তবে যেসব ভিডিও বা খবর ছড়ানো হয়েছে, তা গুজব বলে দাবি তাঁর।
তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এক ব্যক্তি কীভাবে দুটি দেশের ভোটার হতে পারেন? আর তাঁর সঙ্গে রাজনীতিকদের ঘনিষ্ঠতা থাকলে, তা নিয়ে বিতর্ক হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঘটনায় তদন্তের দাবি উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।