নিউজ পোল ব্যুরো: সম্প্রতি জানা গেছে ডোমজুরের (Domjur) এক মা ছেলে জুটি গরিব মেয়ে দের টোপ দিয়ে চালাচ্ছিল দেহ ব্যবসা। মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই পর্দাফাঁস হয়েছে এই ঘটনার। যাদের নিয়ে এত আলোচনা, দেখা নেই তাদের। প্রোডাকশন হাউসের (Production House) নাম করেই আড়ালে তৈরী চলতো ‘সফট পর্ন’ (soft porn) ডোমজুড়ের শ্বেতা-আরিয়ান (Shweta-Aryan) এখনও রয়েছে বেপাত্তা। কিন্তু গেল কোথায় সেই মা ছেলে জুটি! তাদের নিয়েই ধন্দে রয়েছে প্রায় সকলেই। হয়তো মা আর ছেলে দুজনেই বিদেশে গিয়ে নিজেদের গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জানা গেছে এর আগেও একাধিকবার ব্যাঙ্ককে গিয়েছে শ্বেতা। কেন বারবার ব্যাঙ্ককে যেত তারা কি কারণ, আর কার সঙ্গেই বা যেত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্ককে যাওয়ার খরচই জোগাড় করত কীভাবে সে বিষয়টিও এখনো রয়েছে ধোঁয়াশাতে।
আরও পড়ুন:Narendra Modi-Muhammad Yunus: চিঠিতেই মিলল সমাধান? ইউনুসের জবাবে মোদী বার্তার প্রতিধ্বনি
এই অভিযোগ উঠছে, পানশালায় কাজ করানো প্রস্তাব দেওয়া হয় তরুণীকে দিয়ে। শুধু সেখানেই থেমে নেই এই ঘটনা, এছাড়াও এখানে মধুচক্র ও পর্নোগ্রাফির (pornography) প্রস্তাবও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। কিন্তু এসব কাজ করতে একেবারেই রাজি হননি ওই তরুণী বরং তিনি ফ্ল্যাট (Domjur) থেকে চলে আসতে চান। সেই তরুণী আরও অভিযোগ জানান, এরপরই তার উপর চালানো হয় অমানুষিক অত্যাচার। তরুণীকে আটকে রেখে তাঁকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করানো থেকে শুরু করে শরীরে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া, এবং মাথার চুল কেটে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। কোনওরকমে সোদপুরের (sodepur) বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন ওই তরুণী। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মা ছেলে জুটির কীর্তি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। পুলিশ স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সম্প্রতি এই ঘটনার পর থেকেই ফ্ল্যাট তালাবন্ধ করে পলাতক রয়েছেন শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি (Fultusi) ও তার ছেলে আরিয়ান (Aryan)। সোমবার সকাল পর্যন্তও তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ডোমজুড় (Domjur) থানা এই মা ছেলের জুটির এফআইআর গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যেই। ২ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তও করা হবে। জানা গিয়েছে, আরিয়ান ও শ্বেতা রিলিস (Reels) বানিয়েই মোটা টাকা আয় করত তারা। সেই রিলস বানিয়েই সব তরুণীদের কাজের টোপে ফেলতো তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায়র মাধ্যমেই ওই তরুণীর সাথে আরিয়ানের আলাপ হয়। আরিয়ানের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর মা ছেলের সেই টোপ গিলেই তরুণী আরিয়ানের ডোমজুড়ের (Domjur) ফ্ল্যাটে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েই ভুল ভাঙে তরুণীর। সেখানেই গিয়েই সেই মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয় সেই তরুণী।বড়ো কাজের টোপ দিয়েই গরিব মেয়েদের দেহ ব্যবসায় নামাচ্ছেন এই মা ছেলে। সেই কাজে রাজি না হলেই অকথ্য মারধর। তবে খুব তাড়াতাড়িই এই ঘটনার তদন্ত করবেন বলেই জানান পুলিশ।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
