নিউজ পোল ব্যুরো: ‘রাখে হরি মারে কে’, এই প্রবাদ সত্য প্রমাণিত হল। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এক অলৌকিক গল্প আজ সারা দেশের মন কেড়ে নিয়েছে। আহমেদাবাদের (Ahmedabad) আকাশে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিককে যেন ফেরত পাঠিয়েছে ভাগ্য নিজে হাতে। এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ১৭১ নম্বর ফ্লাইটটি টেক অফ করার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে বিমানটি (Plane Crash)। আর সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজের পায়ে হেঁটে বেরিয়ে আসেন ৪৫ বছর বয়সী বিশ্বাসকুমার!
আরও পড়ুন: Air Crash History: আকাশেই মৃত্যু! ভারতের ইতিহাসে একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার রক্তচিহ্ন
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। আর শুক্রবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এসে পৌঁছান বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে ভর্তি আছেন বিশ্বাস। তার বিছানার পাশেই মোদী (Narendra Modi) দাঁড়িয়ে শুনলেন সেই বিভীষিকার কথা। “সবকিছু এত দ্রুত ঘটল, কিছুই বুঝতে পারিনি। আমি কেবল জানি, একটা বিকট শব্দের পর অন্ধকার, তারপর আমি ধ্বংসস্তূপে (Plane Crash)। কিভাবে বেঁচে গেলাম, এখনো নিজেই বুঝে উঠতে পারছি না,” বললেন বিশ্বাস, চোখে তখনও আতঙ্কের ছায়া। বিশ্বাস ছিলেন ১১এ নম্বর সিটে, আর তার ভাই অজয় কুমার অন্য রো-তে। অজয়ের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ভাইয়ের খোঁজে তিনি হাসপাতাল থেকেই বারবার অনুরোধ করছেন। বুকের আঘাত সত্ত্বেও তাঁর কণ্ঠে কেবল একটাই প্রশ্ন,“আমার ভাই কোথায়?”
লেস্টারে থাকা তাদের পরিবারের বাকিরা যেন এখনও ঘোরের মধ্যে। নয়ন কুমার, বিশ্বাসের অন্য ভাই বলেন, “আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না ও বেঁচে আছে। ওর মতো কেউ এত বড় দুর্ঘটনা (Plane Crash) থেকে কিভাবে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে এল, এটা অলৌকিক!” বিমানের টেকনিক্যাল ত্রুটি, আবহাওয়ার প্রতিকূলতা, অথবা পাখির ধাক্কা প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে নানা কারণ। অথচ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, যা এতদিন ছিল নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণে নির্ভরযোগ্য, সেই বিমানই এত বড় দুর্ঘটনার শিকার? আজ এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতার মাঝেও বিশ্বাসকুমারের ফিরে আসা যেন এক আশার বার্তা। জীবনকে পুনরায় উপলব্ধি করার মুহূর্ত।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
