মিষ্টি প্রেমীদের চাহিদাকে সম্মান জানিয়ে মুকুন্দপুরে উদ্বোধন হল রাধারমণ মল্লিকের নতুন দোকান

জেলা বিনোদন

দেবোপম সরকার, কলকাতা: ৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্বালোক মুকুন্দপুরে বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিকের অন্যতম কর্ণধার গৌতম মল্লিকের সপ্তম মিষ্টির দোকানের উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করেন বেলুড় মঠের বেশ কয়েকজন প্রবীণ সন্ন্যাসীরা। প্রথম দিন উদ্বোধনের পরেই মিষ্টি প্রেমী বাঙালির ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।


গৌতম মল্লিকের পাশাপাশি এই দিন উপস্থিত ছিলেন গৌতম বাবুর সহধর্মিনী লোপামুদ্রা মল্লিক এবং তাঁদের পুত্র ঋষভ মল্লিক। গৌতম বাবু জানান, ‘এই দোকানটি বাইপাসের অত্যন্ত কাছে যাদবপুর স্টেডিয়ামের ঠিক বিপরীতে। আমরা যেখানে দোকানটি করেছি সেটি হল একটি রেসিডেন্সিয়াল এলাকা প্রথম দিনই মানুষের ভালোবাসা আমরা পেতে শুরু করে দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান আমরা সারা বছর যে মিষ্টি বিক্রি করি শীতকালে গুড়ের সময় আমাদের বিক্রি অনেকটাই বেড়ে যায় এই তিন মাস শীতের সময় আমাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মিষ্টি তৈরি বাড়াতে হয়। নিত্য নতুন মিষ্টি তৈরি করার পরিকল্পনা আমাদের চলতেই থাকে তার কোন ব্যতিক্রম নেই।’


লোপামুদ্রা মল্লিক জানান, ‘আমাদের এর আগে সন্তোষপুরে একটি দোকান ছিল। সেখান থেকে মানুষরা অনেকেই বলতেন মুকুন্দপুরে একটা দোকান করুন। সেই থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু।’ তিনি আরও জানান, ‘তিনি মিষ্টির বাড়ির মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতেও মিষ্টির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই। ছোটবেলা থেকেই মিষ্টি খেয়ে বড় হওয়া। আমাদের এখানকার বিশেষত্ব গুড়ের সন্দেশ, গুড়ের বেক রসগোল্লা, গুড়ের সুফলে সহ আরও হরেক রকম মিষ্টি।’


এই দিন দোকানের উদ্বোধনের পরে যারাই মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন, সকলের জন্য মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা ছিল। আগামী দিনে গৌতম বাবু কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় তাঁদের ব্রাঞ্চ খোলার পরিকল্পনার কথাও জানান।


গৌতম বাবুর ছেলে ঋষভ মল্লিক জানান, ‘যতই মানুষ শরীর সচেতন হোক না কেন, মিষ্টি তাঁদের চাই চাই। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি হরেক রকম মিষ্টি তৈরি করে তা সুগার ফ্রি হোক বা অল্প মিষ্টি দিয়ে রসনার তৃপ্তি করার। খালি ছানার মিষ্টির পাশাপাশি আমরা ড্রাই ফ্রুটসকে ব্যবহার করে অনেক রকম মিষ্টি বানাচ্ছি। এর পাশাপাশি নোনতার দিকেও আমাদের বিশেষ নজর দিচ্ছি, যাতে মিষ্টির সঙ্গে নোনতার রসনা তৃপ্তি হয় ভোজন রসিক মানুষের।’