Plane Crash: স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়ার, পতন হলো আগুনের গোলায়…

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: স্বপ্নই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল! গুজরাটের (Gujarat) হিমতনগরের এক ছোট্ট ঘরে একদিনের মধ্যে যেন আলো নিভে গেল। পায়েল খটিক (Payel Khatik) নামে এক তরুণী যার জীবন ছিল প্রতিশ্রুতি আর সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। লন্ডনে এমটেক করতে যাওয়ার পথে একটি ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় (Plane Crash) প্রাণ হারালেন।

আরও পড়ুন: Air India Plane Crash: নাম নয়, স্মৃতিই এখন অভিশাপ! AI-171 বদলে AI-159 ট্র্যাজেডি মুছে ফেলার চেষ্টায় এয়ার ইন্ডিয়া?

পায়েল (Payel Khatik) ছিলেন পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি দেশের বাইরে যাচ্ছিলেন পড়াশোনার জন্য। বাবা সুরেশ খটিক (Suresh Khatik) একজন লোডিং অটোচালক (Rickshaw Driver)। সীমাহীন কষ্ট করে মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন, আশায় বুক বেঁধেছিলেন মেয়ে একদিন এই দারিদ্র্যের গণ্ডি ভেঙে তাদের একটা আলোর পথ দেখাবে। কিন্তু সবটাই যে ভাগ্যের পরিহাস!

সকাল ১০টা। পায়েল যখন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর (Ahmedabad Airport) থেকে উড়াল দিলেন, পরিবার ফিরছিল একরাশ গর্ব আর আনন্দ নিয়ে। কিন্তু ভাগ্য নির্মম! উড্ডয়নের ৩৬ সেকেন্ডের মধ্যেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান AI-171 বিধ্বস্ত (Plane Crash) হয় শহরের এক আবাসিক এলাকায়। একটি ছাত্রাবাসের উপর ভেঙে পড়ে আগুনের গোলায় (Plane Crash) পরিণত হয় গোটা বিমান। ২৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেঁচে যান মাত্র একজন। পায়েলের শরীর চিহ্নিত হয় ডিএনএ পরীক্ষায় (DNA)। উদয়পুর থেকে বিটেক শেষ করে পায়েল যখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিচ্ছিলেন, তখন তিনি ছিলেন বহুজনের অনুপ্রেরণা।

পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচও তুলতেন। তার ছাত্রদের কেউ কেউ আজও বিশ্বাস করতে পারছে না, ‘দিদি’ আর নেই। পারিবারিক বন্ধু সুশীলা পাঠক বললেন, “ওর মতো মেয়ে বিরল। এত মেধাবী, এত সহানুভূতিশীল… ৩০ দিন আগে শেষ দেখা হয়েছিল, কে জানত সেটাই শেষ?” আজ পায়েলের ঘরে নীরবতা। পড়ে আছে তার বইগুলো, পড়ে আছে একটি ছোট্ট লাগেজ, যার গন্তব্য ছিল লন্ডনের গ্যাটউইক, কিন্তু শেষ হলো চিরতরে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT