Ahmedabad Plane Crash: শেষ মুহূর্তের সেই কান্নাজড়ানো ডাক, ‘নো থ্রাস্ট, লুজিং পাওয়ার…’ কীসের ইঙ্গিত দিয়েছিল পাইলট?

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: ভোরের আলো ফুটছিল ঠিকই, কিন্তু আহমেদাবাদ আকাশে নামছিল মৃত্যুর ছায়া। পাইলট সুমিত সভরওয়ালের (Sumeet Sabharwal) কণ্ঠে তখন, “মেডে… নো থ্রাস্ট… লুজিং পাওয়ার… আনেবল টু লিফট…” শব্দগুলো যেন আকাশের বুকে আঁচড় (Ahmedabad Plane Crash) কেটে দিয়ে গেল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিধ্বস্ত হলো AI-171 বিমান। ২৭৪টি প্রাণ (Ahmedabad Plane Crash) নিভে গেল এক নিমেষে। কিন্তু এই একটি বার্তাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে গোটা দুর্ঘটনার রহস্য।

আরও পড়ুন: Ahmedabad Plane Crash: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মাশুল কী? আন্তর্জাতিক আইন কী বলে?

প্রাথমিক তদন্তে ডিজিসিএ (DGCA) বলেছে, পাখির ধাক্কায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে বিমানটি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টা এত সরল নয়। প্রশ্ন উঠেছে, কেন টেক-অফের (Take Off) ঠিক পরই থ্রাস্ট বা ইঞ্জিনের টান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল? কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি (Ahmedabad Plane Crash) আগে থেকেই ধরা পড়েছিল? তা হলে সেটি কেন সারানো হয়নি? এই বিমানের শেষ ৭ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ রিপোর্ট এখন তদন্তের আওতায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত জ্বালানির প্রবাহে কোনও বাধা ছিল— দুষিত ফুয়েল, ব্লকড ফিলটার, কিংবা ফুয়েল পাম্পের গলদ হতে পারে ‘নো থ্রাস্ট’-এর পেছনের কারণ। আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে দিল্লি-আহমেদাবাদ-লন্ডন রুটের মত বিশাল উড্ডয়ন পরিকল্পনা কি যুক্তিযুক্ত ছিল?

পাইলটের বার্তায় ‘লুজিং পাওয়ার’-এর (Loosing Power) উল্লেখও ইঙ্গিত করছে, হয়ত জ্বালানি চাপে সমস্যা ছিল, বা মেশিনে গোপন কোনও ফাটল। সেই সঙ্গে উঠছে একাধিক প্রশ্ন:

  • কে বিমানটিকে ফ্লাই ফিট সার্টিফিকেট দিল?
  • মেনটেন্যান্স টিম কী কোনও চেকলিস্ট বাদ দিয়েছিল?
  • এত তাড়াহুড়ো কেন ছিল বিমান ছাড়াতে?

ব্ল্যাকবক্স (Black Box) এখন এনএসজি-র (NSG) হেফাজতে। তার ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে শেষ ১০ মিনিটের সমস্ত উত্তর। কিন্তু এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চাহিদা স্বচ্ছ তদন্ত ও কঠোর জবাবদিহি। কারণ, যারা এভাবে হারিয়ে গেল, তাদের পরিবারের সামনে পড়ে আছে শুধুই একটা প্রশ্ন, এই মৃত্যুর দায় নেবে কে?

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT