নিউজ পোল ব্যুরো: বিদায়, ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল! আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শোকের রেশ রয়েছে ভারতের বিভিন্ন শহরে। সকাল থেকেই মুম্বইয়ের অলিতে গলিতে ভাসছে একটাই নাম — ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল (Captain Sumeet Sabharwal)। সব পথ আজ মিলে গিয়েছে মুম্বইয়ের পোয়াইয়ে তাঁর ফ্ল্যাটের কাছে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সেই অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ায়া (Air India) ক্যাপ্টেনকে। কফিন বন্দী দেহ বাড়িতে আসতেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেনের বৃদ্ধ বাবা। সন্তানের এহেন করুণ পরিণতি দেখে শোকপ্রকাশেরও ভাষা হারিয়েছেন অসহায় বাবা। ছেলে যেন ওপারে ভালো থাকে শেষবারের হাতজোড় করে প্রার্থনা করে বিদায় জানালেন নিজের সন্তানকে।

এ এমন এক মুহূর্ত যেখানে ছেলের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা। চোখে জল বাবার, যা দেখে বাকরুদ্ধ সকলেই। ঝাপসা হয়েছে উপস্থিত সকলের চোখ। পাইলট যে তাঁর বাবাকে কথা দিয়েছিলেন চাকরি ছেড়ে দেবেন এবং বাড়িতে থেকে তাঁর সবটুকু সময় কেবল বাবাকে দেবেন এবং তাঁর যত্ন নেবেন। সেই প্রতিশ্রুতি অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ভবনে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১৭১ ভেঙে পড়ার পর ৪১ জন দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন ৫৬ বছর বয়সী পাইলটও। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে একটি বিমানে করে সাবারওয়ালের দেহ মুম্বাই আনা হয়। সেখান থেকে, মৃতদেহ পোওয়াইয়ের জল বায়ু বিহারে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন : Air India: ফের বিপত্তি আকাশপথে, মাঝরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে রইল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান
ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল (Captain Sumeet Sabharwal) একজন পরামর্শদাতা এবং একজন অভিজ্ঞ পাইলট যিনি তাঁর শান্ত এবং সংযত স্বভাবের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর এই আকস্মিক প্রয়ান মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ক্যপ্টেনকে শেষ বিদায় জানতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীরা তাদের প্রিয় পাইলটকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিল। সাভারওয়ালের সঙ্গে কেবিন ক্রু সদস্য হিসেবে কাজ করার কথা স্মরণ করে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা এক মহিলা বলেছেন, “আমি তাকে নিরামিষ খাবার পরিবেশনের সুযোগ পেয়েছিলাম। আমরা অনেকবার একসাথে হেঁটেছি এবং একসাথে খাবার খেয়েছি। তিনি আমার সামনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ ছেলে, নিবেদিতপ্রাণ এবং দক্ষ পাইলট ছিলেন।” অভিজ্ঞ পাইলট, ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়ালের ৮,২০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি অবসর গ্রহণ করতে এবং তার বাবার পূর্ণকালীন যত্ন নিতে প্রস্তুত ছিলেন। দুর্ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগে, তিনি তার বাবাকে বলেছিলেন যে তিনি তাঁর পূর্ণকালীন দেখাশোনা করার জন্য তার চাকরি ছেড়ে দেবেন।” সেই কথা আর রাখা হল না।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT