নিউজ পোল ব্যুরো: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরেই উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়েছিল হেলিকপ্টার (Helicopter crash in Uttarakhand)। ১৫ জুন উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী সহ পাইলট লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজবীর সিং চৌহান ( Lieutenant Colonel (Retd) Rajveer Singh Chauhan)। মঙ্গলবার সকালে রাজস্থানের জয়পুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল দীপিকা চৌহান (Lieutenant Colonel Deepika Chauhan) সেনাবাহিনীর পোশাক পরেই পাইলট স্বামীকে চোখের জলে বিদায় দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিতএকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কর্নেল দীপিকা চৌহান তাঁর স্বামীর কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজবীর সিং চৌহানের ছবি বুকে জড়িয়েছেন ভেঙে পড়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি তাঁর স্বামীর শেষকৃত্যের নেতৃত্বও দিয়েছেন। শেষকৃত্যে কর্নেল রাজবীর চৌহানের পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী এবং সহকর্মীরাও সমবেদনা জানাতে সমবেত হন। স্বামীর শেষ যাত্রায় স্ত্রীকে দেখে চোখ জল এসেছে জয়পুর-সহ পুরো ভারতের। রাজস্থানের মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরও শ্রদ্ধা জানাতে শেষকৃত্যে যোগ দেন। তিনি বলেন,”আমি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। তিনি এত অল্প বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তবুও, মায়ের শক্তি দেখুন… তিনি শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বন্দে মাতরম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’, এই ধরনের মায়েদের কারণেই ভারত শক্তিশালী। তিনি একজন শক্তিশালী এবং একজন মহান অফিসার ছিলেন… কর্নেল দুই সন্তানকে রেখে গিয়েছেন, ঈশ্বর পরিবারকে এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।” রাজবীর চৌহান ২০১১ সালে বিয়ে করেন এবং ১৪ বছর বিবাহিত জীবনে মাত্র চার মাস আগেই তাঁর স্ত্রী যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাড়িতে সন্তান আসার আনন্দ উদযাপনের জন্য তাঁদের পরিবার ৩০ জুন একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এক মুহূর্তে সব শেষ হয়ে যায়। কর্ণের বাবা বলেন, “আমরা অনুষ্ঠানের জন্য জায়গাও স্থির করেছিলাম, অতিথি তালিকা চূড়ান্ত করেছিলাম; রাজবীরের ২৫ জুন ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল। পুরো পরিবার উদযাপনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিল।”
কেদারনাথ মন্দির থেকে উত্তরাখণ্ডের গুপ্তকাশিতে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ে (Helicopter crash in Uttarakhand)। উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ইউসিএডিএ) কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, ভোর ৫:২০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। হেলিকপ্টারে সাতজন আরোহী ছিলেন যাদের মধ্যে ছয়জন তীর্থযাত্রী (পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি ২৩ মাস বয়সী শিশু) এবং একজন পাইলট ছিলেন। সকলেই দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজবীর চৌহান ১৪ বছরের কাজের পর সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সর্বশেষ পাঠানকোটে আর্মি এভিয়েশন কর্পসে কাজ করেছেন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে ছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অবসর গ্রহণের পর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিয়ান এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডে একজন বেসামরিক হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT