নিউজ পোল ব্যুরো: জীবনের কঠিন মুহূর্তে কেউ কেউ সামনে আসে আলো হয়ে। আহমেদাবাদে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Crash) এমনই এক আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠেন নির্মাণ শ্রমিক রাজু প্যাটেল (Raju Patel)।
চিকিৎসা পড়ুয়াদের ছাত্রাবাস থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে নিজের বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রাজু (Raju Patel)। হঠাৎ এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে চারদিক। ঘুম ভেঙে বুঝতে পারেন, কোনো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোনো সময় নষ্ট না করে তিনি দৌড়ে পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে।
চারদিকে শুধু আগুন, ধোঁয়া আর আতঙ্কের (Ahmedabad Crash) হাহাকার। কিন্তু ভয়কে উপেক্ষা করে, রাজু দ্রুত স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন উদ্ধার কাজ। শাড়ি, ধুতি, দড়ি ও চাদর দিয়ে তৈরি করেন অস্থায়ী দড়ির মই। ছাত্রাবাসের তিনতলা থেকে ছ’তলা পর্যন্ত আটকে থাকা মানুষদের একে একে নিচে নামিয়ে আনেন।
প্রথম ১৫-২০ মিনিট আগুনের তীব্রতায় কেউই কাছাকাছি যেতে পারছিল না। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এলেও, তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যান রাজু ও তার দল। রাতভর উদ্ধার কাজ চালিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচান তিনি। এরপর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খুঁজে পান প্রায় ৮০ গ্রাম সোনার গয়না, ৮০ হাজার টাকা, পাসপোর্ট, এমনকি একটি গীতা। সবকিছুই সততার সঙ্গে তিনি পুলিশের হাতে তুলে দেন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি (Harsh Shanghvi) জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত সামগ্রী যথাযথভাবে মালিকদের ফেরত দেওয়ার কাজ চলছে। এই ঘটনা নতুন নয় রাজুর জীবনে। ২০০৮ সালে গুজরাটে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (Ahmedabad Crash) সময়ও তিনি ঠিক এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। রাজু বলেন, “সবাইকে বাঁচাতে পারিনি, সেই কষ্টই থেকে যাবে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT