নিউজ পোল ব্যুরো: বেশ কিছু মাস ধরেই কংরেসের দাপুটে নেতা শশী থারুরকে (Shashi Tharoor) নিয়ে চর্চা চলছে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিতি ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশে বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে চর্চায় আগুনে ঘি পড়েছে। এমনকি কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বও তাঁকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এতদিন মুখ না খুললেও দুরত্ব ও মত পার্থক্য নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ‘দলের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে’, প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি দিলেন শশী থারুর। এর স্বীকারোক্তি পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে চড়ছে পারদ। কংগ্রেসে কি কোণঠাসা শশী থারুর? তাহলে কি তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন? বিজেপিতে যোগ দেওয়া কি সময়ের অপেক্ষা? এই প্রশ্নগুলিই ঘুরপাক খাচ্ছে।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) সদস্য শশী থারুর বৃহস্পতিবার বলেছেন যে দলের নেতৃত্বের কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য রয়েছে, তবে নীলাম্বুর আসনের উপনির্বাচনের আবহে তিনি সেগুলি নিয়ে কথা বলবেন না। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, “দলের কারও কারও সঙ্গে আমার কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। সেটা জনসমক্ষেই রয়েছে।” তবে থারুর বলেছেন, কংগ্রেসের মূল্যবোধ এবং দলের কর্মীরা তাঁর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর কথায় তিনি ১৬ বছর ধরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ভাই হিসেবে দেখেন। যদিও থারুর এটা স্পষ্ট করেননি যে তাঁর মতপার্থক্য জাতীয় না রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে উপনির্বাচনের ফলাফলের পরে তিনি এই পার্থক্যগুলি নিয়ে কথা বলতে পারেন। এদিন উপনির্বাচনের প্রচারণায় কেন অংশ নেননি জানতে চাইলে, থারুর বলেন গত বছর ওয়ানাডের উপনির্বাচন সহ অন্যান্য উপনির্বাচনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে তিনি আরও বলেন যে তিনি চান দলীয় কর্মীদের প্রচারণার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হোক এবং নীলাম্বুর থেকে ইউডিএফ প্রার্থী জয়ী হোক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক আলোচনা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কেন্দ্রের হয়ে প্রচার নিয়েও মুখ খোলেন থারুর(Shashi Tharoor)। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্তের পক্ষে জানান, তিনি যখন সংসদের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, তখন তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি ভারতের বিদেশ নীতি এবং এর জাতীয় স্বার্থের উপর মনোনিবেশ করেছেন, কংগ্রেস এবং বিজেপির বিদেশ নীতির উপর নয়। “আমি আমার অবস্থান পরিবর্তন করিনি। যখন জাতির সাথে সম্পর্কিত কোনও বিষয় আসে, তখন আমাদের সকলেরই দেশের জন্য কাজ করা এবং কথা বলা বাধ্যতামূলক। অপারেশন সিন্দুরের সময় আমি যা বলেছিলাম তা আমার নিজস্ব মতামত ছিল। কেন্দ্র আমার পরিষেবা চেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, আমার দল তা করেনি। তাই, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে আমি গর্বের সাথে আমার কর্তব্য পালন করেছি।” আপাতত আগামী দিনে কোন পথে পা বাড়াবেন থারুর সেই দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
