নিউজ পোল ব্যুরো: ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে বাঁকুড়ার বালির খনির মালিককে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ (Fake ED officer Fraud)। বাঁকুড়ার বাসিন্দা তপন কুমার পোই (Tapan Kumar Poi)সম্প্রতি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় (Bidhannagar South Police) লিখিত অভিযোগে জানান। তিনি একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বালি খাদানের মালিক এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের (WBMDTCL) সদস্য।
আরও পড়ুন:Diljit Dosanjh: পাক অভিনেত্রী নিয়ে বিতর্ক! ভারতে নিষিদ্ধ ‘সর্দারজী ৩’
২০১৮ সালে একটি পুরনো খাদান পুনরুদ্ধারের জন্য পরিচিত একজনের মাধ্যমে তপনবাবুর পরিচয় হয় শেখ জিন্নার আলী (Sekh Jinnar Ali) নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে, যিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি সল্টলেক সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে কর্মরত বলেই নিজেকে দাবি করেন। প্রথমে সল্টলেকের একটি হোটেলে তাদের সাক্ষাৎ হয় এবং সেখানে তিনি ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা নগদে দেন। পরবর্তী সময়ে আরও ২০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক মারফত চারটি কিস্তিতে ট্রান্সফার করেন। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার পরেও কোনও কাজের অগ্রগতি না দেখে তপনবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত (Fake ED officer Fraud) হয়েছেন।
এরপর তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও সমস্ত তথ্যসহ বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানান। থানার পাশাপাশি তিনি বিধাননগরের ডিসি বিষষ আনিস সরকার, আইপিএসকেও বিষয়টি জানান।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পলাতক। তার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এবং বাড়িতে হানা দিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। এই ব্যাক্তির সাথে আরেক ব্যাক্তিও প্রতারণা কান্ডে জরিত যার নাম শেখ নাসের আলি (Sekh Naser Ali)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। পুলিশের অনুমান, খুব তাড়াতাড়ি মূল অভিযুক্তকে (Fake ED officer Fraud) গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT