নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জেল হেফাজতে বন্দির মৃত্যু। পুলিশের রিপোর্টে ক্ষুব্ধ আদালত। কলকাতা হাই কোর্টে আজ সোমবার এই মামলার শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বিচারপতির বক্তব্য, ‘দেহে ক্ষত ছিল বলে রিপোর্ট দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা কেন বের করা যাচ্ছে না? বিষ্ণুপুর থানা, না কি বারুইপুর জেল কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেই উত্তর জরুরি। এক সপ্তাহের মধ্যে কে মারধর করেছে, সেই জবাব চায় আদালত। এতদিন সময় দেওয়া হয়েছে আর নয়, রাজ্যেই রিপোর্ট দিয়ে জানাচ্ছে দেহে মারধরের চিহ্ন আছে। কে করেছে, তাকে অ্যারেস্ট করতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, গফুর মোল্লা(৩২) নামে এক ব্যক্তিকে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গত বছর ২৮ আগস্ট গ্রেফতার করে রাজ্যর শুল্ক দফতর। শুল্ক দফতর তাকে গ্রেফতার করে বিষ্ণুপুর থানায় নিয়ে যায়। এরপর ২৯ আগস্ট তাকে আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সেখানেই মারা যায়।
এরপরেই তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে তার ছেলে। সেই মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে পুলিশকে মৃতদেহ সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ার পর আজ মামলার শুনানিতে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।