নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিবিআইয়ের গ্রেফতারির আশঙ্কায় কালীঘাটের কাকুর আগাম জমিনের আবেদনের মামলায় আপাতত নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়াকরণের ওপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। সুজয়ের মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে আগ্রহী আদালত। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি হবে।
আজ মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবীর আবেদন ছিল, নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়ার ওপর যাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। বরঞ্চ কেনও তাঁকে আগাম জামিন মঞ্জুর করা হবে এই মর্মে কিছু প্রশ্ন করে আদালত। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এদিন এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত এর ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নিম্ন আদালতে আমি হাজিরা দিইনি। আমি অসুস্থ রয়েছি। আমায় এত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করেনি। ২০২৩ সালের ৪ মে আমার বাড়িতে রেড হয়। ১৩ মে ইসিআইআর এর মাধ্যমে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। আমি ওই ইসিআইআর কেসের ভিত্তিতে হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করি। সম্প্রতি সেই জামিন মঞ্জুর হয়ছে। শেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। জেলে ফেলে রেখেছে। নিম্ন আদালতে আমায় হাজির করতে পারেনি বলে কোনও প্রসিডিংস শুরু করতে পারেনি। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে গ্রেফতারিটা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। কয়েকদিনের জন্য নিম্ন আদালতের এই প্রক্রিয়াকরণের ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেওয়া হোক। দু’দিন অন্তর অন্তর শুনানি রাখছে!’
আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, ‘সেটা হয়তো তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের অঙ্গ। নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে আমার তিনটি প্রশ্ন আছে……. ।
১.কোনও অভিযুক্তের এত বার প্রোডাকসান ওয়ারেন্ট ইস্যু হবার পরেও কেনও নিম্ন আদালতে আসছে না?
২.আগাম জামিনের আবেদন করছেন, কিন্তু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মানে আগের মামলার সঙ্গে নতুন মামলায় যুক্ত হয়ে যায়। তাহলে সুজয়কৃষ্ণ কোন গ্রাউন্ডে আগাম জামিন চাইছেন?
৩. আগাম জামিনের ক্ষেত্রে যে রুল ফলো করা উচিৎ, সেই রুল কী আবেদনকারী ফলো করেছে?
এরপরেই এই বিষয়ে কোন স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।