নিউজ পোল ব্যুরো, নদিয়া: কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। দৃশ্যমানতা কম। ট্রেনের তলায় ঢুকে গেল বাইক! ছিন্নভিন্ন চালকের দেহ। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর কালিবাড়ি এলাকায়।
সূত্রের খবর বাইক নিয়ে ট্রেনের নীচে ঢুকে যান চালক, যার জেরে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে উড়ে যায় চালকের দেহাংশ। শান্তিপুর স্টেশন থেকে সকাল ৮ টায় প্রতিদিন একটি লোকাল ট্রেন কৃষ্ণনগরের দিকে রওনা দেয়। ঠিক সেই মতো শান্তিপুর স্টেশন থেকে ওই লোকাল ট্রেন কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল। দূর থেকে ট্রেন আসছে দেখেও ভেবেছিলেন বাইক নিয়ে লাইন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু পারেননি। বাইক নিয়েই ট্রেনের তলায় চলে গেলেন নাম শঙ্কর রায় (৪৫) নামে পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি গোবিন্দপুর বিবেকানন্দনগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার পর ট্রেনটি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় ট্রেন চলাচলেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গোটা গোবিন্দপুর জুড়ে রেললাইনে কোন গার্ডওয়াল না থাকার কারণে এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত ছোট বড় গলি রয়েছে, সেই গুলিগুলোকে গার্ডওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হোক।
অপরদিকে, এদিন সকালে শান্তিপুর বাবলা বাইপাস ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল একটি লরি। তার পেছনে একটি ছোট চারচাকা গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারাণ ছোট গাড়িতে থাকা তিন ব্যক্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শান্তিপুর বাবলা বাইপাস ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল একটি লরি। তার পেছনেই একটি ছোট চারচাকা গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারাণ ছোট গাড়িতে থাকা তিন ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, দুটো গাড়ি কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। ঘন কুয়াশার কারণেই ছোট গাড়ির চালক লরিটিকে দেখতে পাননি বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তার জেরেই সজোরে গিয়ে লরির পেছনে ধাক্কা মারেন চালক। ছোট গাড়ির সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ি ভিতরেই আটকে পড়েন তিন জন। মাথা-মুখ থেঁতলে যায় তাঁদের। যতক্ষণে তাঁদের উদ্ধার করা হয়, মৃত্যু হয় তিন জনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। দেহ তিনটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দু’টিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।