নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সঙ্গে যোগ নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কলকাতা হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চের কাছে দাবি পার্থর আইনজীবীর। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, সিবিআই এই দুর্নীতি সম্পর্কে যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে পারেনি সেই কারণেই প্রত্যেকের জামিন দেওয়া হোক দাবি আবেদনকারী আইনজীবীর। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেও তাঁর বিরুদ্ধে কী তদন্ত করেছে সিবিআই? তাঁকে ফের অন্য মামলায় শোন অ্যারেস্ট করেছে সিবিআই!’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাতেন। অফিসিয়াল কাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জানার কথা নয়। চার্জশিট ফাইল হয়ছে। অন্য অভিযুক্তদের থেকে আলাদা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আমি দু’বছরের বেশি জেলে আছি। জিজ্ঞাসাবাদের নামে প্রহসন চলছে!’
অপরদিকে, সুবিরেশ মজুমদার ও কল্যাণময় ভট্তাচার্যের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এরা যে ডিপার্টমেন্টেের দায়িত্বে ছিলেন সেই ডিপার্টমেন্ট কোনও নেক্সাস করলে এদের কোনও ভূমিকা থাকে কী? বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় নির্দেশের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছিলেন রাজ্য সরকার চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি দিচ্ছে না! মানে রাজ্যের সঙ্গে এদের অবৈধ যোগ রয়েছে। এরা প্রভাবশালী। এদের জামিন দিলে তথ্য প্রমান নষ্ট করতে পারে। কিন্তু তার স্বপক্ষে প্রমাণ কই? সুপ্রীম কোর্ট প্রসন্ন কুমার রায়ের জামিন মঞ্জুর করেছিল কারণ, তাঁর সত্তর বছরের বেশি বয়স। বিচারপর্ব কবে শুরু হবে তা সুনির্দিষ্ট নয়। সেই জন্যই জামিন পান তিনি।
আদালতে এদিন সওয়াল জবাবে আইনজীবীরা আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা মামলায় প্রায় ১৩০-১৪০ জন করে সাক্ষী রয়েছে। সিবিআই গত দু’বছর ধরে এদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি পাচ্ছে না বলেই তারা এই তত্ত্ব খাড়া করেছে যে এর মানে রাজ্যের সঙ্গে এদের একটা যোগসাজস রয়েছে। এভাবে বছরের পর বছর আটকে রাখা যায় না।
পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে তাঁর সওয়াল করবেন। এই সওয়াল জবাব শেষ হলেই বিচারপতিরা তাঁদের রায় শোনাবেন।