নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বড়বাজার স্টেট ব্যাঙ্কের প্রায় ৭ কোটি টাকার জালিয়াতিতে উঠে এলো রাজ্যের কনসেন্ট ইস্যু। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে স্টেট ব্যাঙ্কের বড়বাজার শাখা থেকে ৭ কোটি টাকার ওপরে জালিয়াতি মামলায় সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্ট তলব কলকাতা হাই কোর্টের। সিবিআইয়ের সাফাই তাদের হাতে তদন্তভার থাকলেও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া তারা তদন্ত করতে পারছে না! আর সেই কারণেই আটকে রয়েছে তদন্তের কাজ।
২০২২ সালে সিবিআইয়ের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জানায় ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে যেমন একজন ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন সে রকমই ব্যাঙ্কের অফিসাররাও জড়িত রয়েছেন। যার ফলে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানয় এসবিআই। সিবিআই তদন্ত শুরু করে। কিন্তু দু’বছর কেটে গেলেও সম্প্রতি সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে এই ধরনের মামলায় রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া তারা তদন্ত করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রাজ্য কন্সেন্ট উইথড্র করে নিয়েছে। ফলে হাই কোর্ট বা সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া রাজ্যে এই ধরনের মামলার তদন্ত করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। এই ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না। কারণ কয়েক বছর আগে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সিবিআইকে।
স্টেট ব্যাঙ্কের এই মামলা প্রসঙ্গে আজ বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এতদিনে সিবিআই প্রাথমিক অনুসন্ধানে কী পেয়েছে তা আগে দেখতে চাই।’ তাই ২১ জানুয়ারি সিবিআইকে রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের আরও নির্দেশ, এমন অনুমতির জন্য যদি তদন্ত আটকে থাকে তাহলে বহু ক্ষেত্রেই মানুষের টাকা নয় ছয় আটকানো যাবে না। তাই এর একটা স্থায়ী সমাধানে আসার দরকার রয়েছে।
সেই কারণেই সিবিআইয়ের কাছে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো কলকাতা হাই কোর্ট। কারণ প্রথম দু’বছর সিবিআই তদন্ত করে কতদূর পৌঁছেছে তা জানা আদালতের প্রয়োজন রয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই দিনই সিবিআইকে দিতে হবে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।