নিজস্ব প্রিতিনিধিঃ- এখন মন চাইলেই আর হুট করে সান্দাকফু যেতে পারবেন না। সান্দাকফু যেতে গেলে এবার থেকে লাগবে মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট। চাইলেই সান্দাকফু বেড়াতে বা ট্রেক করতে যেতে পারবেন না, এবার নতুন নিয়ম জারি করতে চলেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও জিটিএ কর্তৃপক্ষ। আর এই মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট এবার বাধ্যতামূলক যা লাগু হবে নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানাুয়ারী থেকেই।
পাহাড়ি দুর্গম এলাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সম্প্রতি পাহাড়ে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক পর্যটকের। চলতি বছরেই তিন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে এই সান্দাকফু বেড়াতে এসে বা ট্রেকিং করতে গিয়ে। পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানাতে না পারার কারণেই বারবার এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। পাশাপাশি সান্দাকফু বা টুমলিংয়ের মতো এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যেহেতু, সান্দাকফু এলাকাটি সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে তাই জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেসব মিটিয়ে প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সান্দাকফু ট্রেকিংয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচদিন সময় লাগে। ট্রেকারদের মাথাপিছু প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। ঘোড়া নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন ট্রেকারদের মালবাহক নিতে হবে এবং এর জন্য খরচ অনেকটাই বাড়বে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে আগে যানবাহন চলাচলের মতো রাস্তা তৈরী করে তার পরেই পনি নিষিদ্ধ করুক। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও দাবি, এখানে প্রায় ২০টি গ্রাম রয়েছে। ৪০টিরও বেশি হোম স্টে রয়েছে। পনি না পেয়ে ট্রেকাররা মুখ ফিরিয়ে নিলে এখানকার অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়বে।