নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি : হুগলির বলাগড়ের জিরাটে কমবেশি আড়াইশো ছোট বড় নার্সারি রয়েছে। বাংলাদেশে রফতানি হয় বলাগড়ের নার্সারির গাছ। তবে অস্থিরতার জন্য সীমান্ত পার হচ্ছে না, চাষিদের আশঙ্কা সমস্যা মিটে গেলে আবারও ব্যবসা আগের মতই হবে।
প্রসঙ্গত, বলাগড়ের জিরাটে যেখানে নার্সারি, সেখান থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিদেশেও গাছের চারা রফতানি হয়।ফুল ও ফলের গাছ বলাগড় থেকে গাড়ি বোঝাই করে চলে যায় বাংলাদেশ নেপাল ভূটান সহ বিভিন্ন দেশে। শুধু তাই নই, থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ হয়ে অনেক মাদার প্লান্ট আসে বলাগড়ে।নার্সারির চারা বড় করে আবার রফতানিও হয়।
জানা গিয়েছে, আগে সপ্তাহে গড়ে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার গাছ যেত বাংলাদেশে। কিন্তু গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সেই রফতানি বন্ধ রয়েছে।নার্সারি মালিকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য না হওয়ায় তাঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।তবে তারা আশা করছে পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হবে।
পরিস্থিতি শান্ত হলে আবারও প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য হবে। শীতের নানা ধরনের ফুলের চারার চাহিদা থাকে এসময়। আর এই পরিস্থিতির জন্য সমস্যা পড়ছেন অনেকেই। বনগাঁর এক নার্সারী মালিক শঙ্কর দাস বলেন,তারাও এই সময় ফুলের চারার কিছু অর্ডার পেতেন তবে এখনের পরিস্থিতির কারণে আর অর্ডার পাচ্ছেন না তাঁরা।