নিউজ পোল ব্যুরো, ময়ূরভঞ্জ: রথ দেখা আর কলা বেচা, এই কথাটা ছোটো থেকেই শুনে আসছেন সকলেই। তবে রথ আসতে এখনও পর্যন্ত ঢের দেরী আছে। আর রথ মানেই যে পুরীর জগন্নাথ সে কথা আর বাকী থাকে কী? তবে এখন সারাবছরই মানুষ বেড়াতে যান পুরীতে। তবে আপনাদের বলবো এখন দার্জিলিং বেড়াতে না গিয়ে ঘরের পাশে পুরী থেকে ঘুরে আসুন তাহলেই আপনারও রথ দেখা আর কলা বেচা দুটোই হয়ে যাবে। কারণটা শুনলে আপনি নিজেই চমকে যাবেন, আর ভাবতেও পারবেন না যে এটাও সম্ভব? হ্যাঁ,একেবারেই সম্ভব। আর এবার ওড়িশাতেই ঘটেছে এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা।
এতদিন আমরা তুষারপাত দেখতে কাশ্মীর বা দার্জিলিঙে দৌড়ে যেতাম। যেতাম পার্শ্ববর্তী রাজ্য সিকিমেও। এবার সবাইকেই অবাক করে দিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাতেও তুষারাপাতের অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার ওড়িশার সুন্দরগড় এবং ময়ুরভঞ্জ জেলাগুলি একটি অস্বাভাবিক ঘটনার সাক্ষী হন স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই এখানে বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাত হয়। যার জেরে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। তুষারপাতের ফলে এই অঞ্চলে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা স্থানীয় বাসিন্দাদের তো বটেই পর্যটকদেরও আকর্ষণ করেছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) এর আগে এই জায়গার জন্য একটি হলুদ সতর্কতা জারি করেছিল, যা একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়েছিল। রবিবার সকালে, সুন্দরগড়ের কয়দা এলাকার মাঠ, গাছ, বাড়িঘর সহ রাস্তা ও যানবাহন সাদা বরফের আস্তরণে ঢেকে যায়। টেনসা, কালতা, মালদা, কয়দা সদর দফতর এবং কাসিরাতে ভারী তুষারপাতের খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ময়ূরভঞ্জের তাপমাত্রা গত তিন দিন ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই ছিল। তার ওপরে আচমকাই এই তুষারপাতের জেরে ঠান্ডার আবহ দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করেছে, বিশেষ করে এলাকার শ্রমিক, ছোটশিশুরা ও বয়স্করা এই তুষারপাতে কাবু হয়ে পড়েছেন।
শৈত্যপ্রবাহের জের অঞ্চলটি হঠাৎ করেই একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যা নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরা শীত উপভোগ করতে এবং শীতের পরিবেশ উপভোগ করতে এই জনপ্রিয় গন্তব্যে ছুটে আসছেন। এই বিরল আবহাওয়ার ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি অনন্য চাক্ষুষ অভিজ্ঞতাই প্রদান করেনি বরং ভ্রমণকারীদের ওড়িশার অপরূপ সৌন্দর্য্য অন্বেষণ করারও সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত পরিবেশবিদরা। তাদের মতে যেভাবে পরিবেশের পরিবর্তন ঘটছে তা জীবন জীবিকার ওপর আগামী দিনে দারুণ প্রভাব ফেলবে।