মহিলা শিক্ষিকাদের টয়লেটে গোপন ক্যামেরায় লাইভ স্ট্রিমিং! ধৃত স্কুলের মালিক

অপরাধ আইন দেশ রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো, নয়ডা : মহিলা শিক্ষকদের বাথরুমে লাগানো গোপন ক্যামেরা। আর সেই ক্যামেরা দিয়ে চলছে লাইভ স্ট্রিমিং! এক শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের মালিককে গ্রাফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, গত ১০ ডিসেম্বরে স্কুলের শৌচাগারে গিয়ে বাল্বে সমস্যা লক্ষ্য করেন এক শিক্ষিকা। দেখেন সেখান থেকে ক্ষীণ আলো আসছে। কৌতূহলী হয়ে বাল্বটি হাতে নিতেই লক্ষ্য করেন, তাতে একটি ছোট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীকে ব্যাপারটি জানাতে তিনি নিশ্চিত করেন যে এই বস্তুটি একটি ক্যামেরা। এরপরই শিক্ষিকা চলে যান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তার পরেও স্কুলের ডিরেক্টর সহ কো-অর্ডিনেটর কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে বিষয়টি উড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। উল্টে তাঁরা শিক্ষিকাকে দু একটা খারাপ কথাও শুনিয়ে দেন।
শেষে আর কোনও রাস্তা খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন এই শিক্ষিকা। নয়ডা(সেন্ট্রাল) ডিসিপি শক্তিমোহন অবস্তি সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তদন্তের জেরে স্কুলের ডিরেক্টরের সব কর্মকাণ্ড ফাঁস হয়ে যায়। পুলিশ জিজ্ঞাসা করায় স্কুলমালিক স্বীকার করেন যে, তিনি নিজেই শৌচাগারে ২২হাজার টাকা মূল্যের ক্যামেরা বাল্বে সংযুক্ত করেছেন। সেই ফুটেজ নিয়েই মোবাইল এবং ল্যাপটপে শিক্ষিকাদের শৌচাগারের দৃশ্য দেখতেন। পরে এই কথা স্কুল মালিকের মুখে শুনে থ হয়ে যায় তদন্তকারীরা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও করা হয়।
অভিযোগকারির দাবি, এ বারই প্রথম নয়, এর আগেও স্কুলের শৌচাগারে একটি ছোট ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সে বারও তিনি ক্যামেরাটি খুলে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি কোথা থেকে ওই ক্যামেরা এল, কে ক্যামেরাটি বসালেন, তার কোনও খোঁজই নেননি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার শিক্ষিকা পুলিশের কাছে যাওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সামনে আসেন। বিনোদ নামে স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, স্কুল মালিক নিজেই ওই ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। তাঁরা কেউই কিচ্ছু জানতেন না। যদিও ওই নিরাপত্তারক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। আপাতত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।