নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: কলকাতাগামী বিমানে চড়ে ধূমপান করছে বলে জানানো হয় অভিযোগ। মুম্বই থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর 6E 5122 বিমানটি টেক অফ করার আগে মাঝপথেই এক যাত্রী শুরু করে দেয় তাঁর সুখটান। যুবকের নাম শেখ গোলাম মোস্তফা। তিনি কেবিন ক্রু’কে কিছু না জানিয়েই বাথরুমের ভিতর ঢুকে পড়েন। তারপরই গুনগুন করে গান গাইতে থাকেন আর মনের সুখে সিগারেটে টান দিতে থাকেন। শৌচালয়ে ঢুকে ধূমপান করার জন্য যদিও সেখানে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদিও ভাগ্য ভালো হওয়ায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলো বিমানের সব যাত্রীরা। এই ঘটনার জেরে আটক করা হয় সেই অভিযুক্ত যাত্রীকে।
এই ব্যাপারটি একজন যাত্রী কেবিন ক্রু’কে জানালে তিনি ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করার জন্য যখন ধূমপান না করার পরামর্শ দেন তখন তিনি বলেন, ‘নিজের আসনে গিয়ে বসুন। বেশি জ্ঞান দিতে হবে না।’
এরপর তাঁকে যখন হাতেনাতে ধরা হয় তৎক্ষণাৎ সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি তর্ক জুড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বলেন, ‘ধূমপান নিষিদ্ধ! সেটা বিমানের ভিতরে কোথাও লেখা আছে কি?’
আরও বলেন, ধূমপান তৈরিই হয়েছে সেবন করার জন্যে। তাই সেবন করেছি।’
পরে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ দেখান অন্যান্য যাত্রীরা। বিমানে আগুন লেগে গেলে কে বাঁচাত? প্রশ্ন তুলে ওই যাত্রীর দিকে তেড়ে যান অন্যান্যরা। তবে পুলিশ, যাত্রী শেখ গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করার জেরে কাছে যেতে পারেননি অন্যান্য যাত্রীরা বলে খবর। বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের অভিযোগ, এক যাত্রীর অপ্রত্যাশিত আচরণের জন্য খেসারত দিতে হতো বাকী সব যাত্রীদের। ধূমপান থেকে বড় অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, প্রাণ যেতে পারত যাত্রীদের। কী করে কোনও যাত্রী এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।