নিউজ পোল ব্যুরো, বালুরঘাট: বর্তমানে প্রত্যেকটি কার্যালয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেম চালু হচ্ছে। এই বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে কর্মীদের উপস্থিতি সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারে ওপরমহল। এই বায়োমেট্রিক চালু হতেই নজরে আসে এক চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা দেখা যায়। বেতন তালিকায় নাম থাকা প্রায় ৮০জন কর্মীর কোনও হদিশ নেই! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বালুরঘাট পুরসভায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বালুরঘাট পুরসভায় বায়োমেট্রিক চালু হয়। এর ফলে সেখানকার কর্মী ও আধিকারিকদের হাজিরা নথিভুক্ত করা যায় সহজেই। আর তারপরই দেখা যায় হাজিরা মিলছে না বেতন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৮০জন কর্মীর। জানা যায়, যেদিন থেকে বায়োমেট্রিক চালু হয়েছে সেদিন থেকে তাঁরা আর হাজিরা দেননি! এটা কিভাবে হল, তা নিয়ে চলেছে চাপানউতোর।
বিরোধীদের অভিযোগ, এর থেকে প্রমাণিত হয় যে বালুরঘাট পুরসভায় প্রচুর ভুয়ো কর্মী নিয়োগ হয়েছে। সেই ভুয়ো কর্মীরা এতদিন ধরে হাজিরা খাতায় নাম সই করতেন ফলে সহজেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্যালারি ঢুকে যেত। কিন্তু তাঁরা কেউ ওই পুরসভার কর্মী নয়। বায়োমেট্রিক চালু হওয়ার পর ওই ভুয়ো কর্মীরা আর কোনও কারচুপি করতে পারছে না। স্যালারি দেওয়ার সময় হাজিরা খাতায় বায়োমেট্রিক মিলিয়ে দেখতে গিয়েই মেলে অসঙ্গতি।
এখন প্রশ্ন হল, একসঙ্গে ৮০ জন কর্মী টানা এতদিন ধরে হাজিরা দিচ্ছেন না। এটাকে কিছু কর্মীর হাজিরা না দেওয়া সংক্রান্ত সমস্যা বলা যেতে পারে কি? এই যুক্তি ওই পুরসভা মেনে নিয়েছে বলে জানা যায়। তারা বলেন আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় ধরে বামেদের দখলে থাকার পর ২০১৩ সালে বালুরঘাট পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে বহুবার ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ৮০জন কর্মীকে বেতন না দেওয়ায় প্রায় ১২লক্ষ টাকা সাশ্রয় হয়েছে পুরসভার।