বিবাহ পবিত্র বন্ধন, অর্থ রোজগারের হাতিয়ার নয়

আইন জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো, নয়াদিল্লি: বিবাহ বন্ধনের অর্থ হল একটি পবিত্র ও সামাজিক সম্পর্ক। যা দু’জন মানুষের মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি শুধু দু’টি মানুষের নয়, বরং দু’টি পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করে।
বিবাহ বন্ধন হল ভালোবাসা, বিশ্বাস, সম্মান ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন। এটি শুধু একটি সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, এটি জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তাঁর জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করার একজন সঙ্গী বা সঙ্গীনীকে খুঁজে পায়। বাংলার সমাজে বিবাহ বন্ধনকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়, যেখানে সংস্কার, রীতিনীতি, ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটে। এটি শুধু দু’টি মানুষের নয়, একটি সংস্কৃতির ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে। তবে বিবাহ বন্ধনের অর্থ দিন দিন অর্থহীন হয়ে পড়ছে।
প্রসঙ্গত, মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে বাঁচাতে সুরক্ষার জন্য এতদিন যে আইন তৈরি করা হয়েছিল তার অপব্যবহার করতে শুরু করেছেন অধিকাংশ মহিলারাই। আর তাই মহিলা সুরক্ষা আইনের অপব্যবহার নিয়ে ঘোরতর উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রীম কোর্ট। অনেকেই বিয়ের এই পবিত্র বন্ধনকে টাকা ইনকামের একটি মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন! যা নিয়েই উদ্বিগ্ন দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রীম কোর্টের পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, ইদানিং স্বামীর সমান সম্পত্তি পাওয়ার লোভে যাচ্ছেতাই খোরপোষ চাইছেন মহিলারা! একটি মামলায় দেখা গিয়েছে, এক ব্যবসায়ীর কাছে ডিভোর্সের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার খোরপোষ দাবি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। পরে তদন্ত করলে জানা যায়, ওই মহিলার স্বামী দেশে বিদেশে সব মিলিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। তাই স্বামীর সমান সম্পত্তির মালিকানা চাইতেই এত অঙ্কের টাকা দাবি করেছেন ওই স্ত্রী।
দিন কয়েক আগে বেঙ্গালুরুতেও ঘটেছে এমনই এক ঘটনা। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী মোটা অঙ্কের খোরপোষের দাবিতে স্বামীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানোয়, আত্মহত্যা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষ নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এই ধরনের ঘটনাগুলি রুখতে শীর্ষ আদালত এবার পরিষ্কার বলছেন, হিন্দু শাস্ত্রমতে বিয়ে পবিত্র বন্ধন। এটাকে অর্থ রোজগারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। পরবর্তীকালে এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার দিকে লক্ষ্য রাখছে শীর্ষ আদালত।