‘ডোনেশন’ রহস্য ফাঁস জামাই কল্যাণময়ের

breakingnews অপরাধ কলকাতা রাজ্য শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরেই নির্ভর এখন তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। আর এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ঘনিষ্ঠর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। কীভাবে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা সাদা করা হত, কী কী কৌশল অবলম্বন করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? ইডির কাছে সেই তথ্যই ফাঁস করে দিয়েছেন পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এমনটাই দাবি ইডি সূত্রে।

জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে আদালতে। কীভাবে এবং কোন সংস্থার মাধ্যমে টাকা নয়ছয় হয়েছিল তা এই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। এই চার্জশিটে পার্থর জামাই কল্যাণময়ের নামও রয়েছে। কল্যাণময় এখন বিদেশে। একাধিকবার জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে নগদ টাকা দিতেন পার্থ। সেই টাকাই স্ত্রীর নামে তৈরি ট্রাস্টে ফেরত আসত। এভাবেই বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট দুর্নীতির অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। নিয়োগ মামলার চার্জশিটে এমনই অভিযোগ করেছে ইডি। পার্থের জামাই কল্যাণময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তাঁরা। নিয়োগ মামলায় পার্থদের ট্রাস্টের ‘ডোনেশন রহস্য’ও ইডির কাছে ফাঁস করেছেন পার্থের জামাই।

এভাবে, পার্থ দিনের পর দিন ট্রাস্টে ‘ডোনেশনের’ পেছনে টাকা আড়াল করে রেখেছিলেন। আর একাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন জামাই কল্যাণময়। তাঁরা বেশ কয়েকটি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই সমস্ত সংস্থার মালিক হিসেবে পার্থ রাজীবদের নাম ব্যবহার করেছিলেন। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দু’বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সম্প্রতি ইডি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। সিবিআই মামলা এখনও চলছে।