শুক্রবার বিকেলের থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন! শনিবারেও জমছে মেঘ, ভিজবে কোন কোন জেলা? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর? জানুন বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, শনিবার সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। ডিসেম্বরের সপ্তাহান্তেও কুয়াশা নয়, বদলে মেঘের চাদরে ঢাকল আকাশ। কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই মতোই শনিবার সকাল থেকে পরিবর্তন দেখা যাবে আবহাওয়ায়।
নিম্নচাপে জেরে ফের শীতে বাধা, পারদ চড়বে আবারও বেশ খানিকটা। শীতের শুরুতেই বাধা অনুভব করেছে গোটা বঙ্গ, একের পর এক নিম্নচাপের জেরে স্বাভাবিকের তুলনায় দেরিতেই শীতল বায়ু প্রবেশ করেছে বঙ্গে। এর মাঝে দুই সপ্তাহ সবেমাত্র কনকনে শীত অনুভব করছিল বঙ্গবাসী এর মাঝেই ফের বাধা! পিকনিকের ছাতা খাটানোর আগেই বৃষ্টির জেরে আশ্রয় ছাতার নিচে, একটানা বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী— পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু কিছু অংশে শুক্রবার রাতেই বৃষ্টি শুরু হতে চলেছে জানানো হয়। সেই মতোই শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যেই জেলায় জেলায় ঘটে আবহাওয়ার পরিবর্তন। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ কলকাতা সহ একাধিক জেলায়। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটা জেলায় সকাল থেকেই লক্ষ্য করা গেল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত।
মৌসম ভবনের কৃত্রিম উপগ্রহের ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপটি ক্রমশই এগিয়ে আসছে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বর্তমানে। গভীর নিম্নচাপ উত্তর–পূর্ব দিকে মুখ ঘুরিয়ে আপাতত ওডিশার দিকে এগোতে শুরু করেছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার এবং আগামীকাল রবিবার কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি।
নিম্নচাপ এগিয়ে আসার ফলে বাধা পাচ্ছে শীতল বায়ু ফলত একাধিক জেলায় শীতের মাঝেও চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ফলতো আরও বেশ কয়েকদিন শীতকালীন স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়া অনুভূত হবে জেলাগুলিতে। কোথাও আবার কুয়াশার সাথেই ঝরে পরবে মেঘলা আকাশে বৃষ্টি।
এখন প্রশ্ন একটাই তবে ফের কবে অনুভূত হবে হাড়কাঁপানো শীত? সে বিষয়েও যদিওবা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও জানান দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবু আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন নতুন বছরেই তার সম্ভবনা। ইংরেজি নববর্ষে ঠান্ডা পরবে, আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।