আর ভয় নেই সূঁচ ফোটানোর, ইনসুলিন নেওয়া যাবে স্প্রে’তে

breakingnews দেশ বিজ্ঞান স্বাস্থ্য

নিউস পোল ব্যুরো, রাশিয়া: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও এক সুখবর দিলো রাশিয়া।  কিছুদিন আগেই তারা জানিয়েছিল ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তারা তৈরি করে ফেলেছে।  এবারে ডায়াবেটিস রোগীদের এক নতুন দিশা দেখালেন রুশ বিজ্ঞানীরা। ইনসুলিন হল একটি প্রাকৃতিক হরমোন যা অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিন দেওয়া হয় কারণ তাঁদের শরীরে ইনসুলিন প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয় না। যার ফলে রক্তে বেড়ে যায় শর্করার পরিমাণ।  তাই এই সব ক্ষেত্রে রোগীদের ইনজেকশনের মাধ্যমে সূঁচ ফুঁটিয়ে ইনসুলিন দেওয়া হয়। যা খুবই কষ্টকর। অনেকেই এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মাঝপথেই ইনসুলিন নেওয়া বন্ধ করে দেন।

এবার সেই সম্যসার সমাধান করতে নতুন বছরেই বাজারে আসছে ওরাল ইনসুলিন স্প্রে। মাউথ ফ্রেশনার মতোই মুখে স্প্রে করেই ডোজ নেওয়া যাবে। আর এর কার্যকারিতাও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আমেরিকায় প্রথম ওরাল ইনসুলিন স্প্রে তৈরি করার অনুমোদন দেয় ওষুধ নিয়ামক সংস্থা। এই মুহূর্তে ১৪টি দেশ ওরাল ইনসুলিন স্প্রে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে কয়েক লক্ষ মানুষ তা ব্যবহার করছেন। এবার ভারতেও ওরাল ইনসুলিন স্প্রে তৈরির অনুমতি পেয়েছে ওষুধ নির্মাতা সংস্থা সিপলা। সিপলার এমডি উমঙ্গ বোহরা বলেছেন, ‘যাঁরা প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে অভ্যস্থ তাঁদের জন্য এটা একটা বড়ো উপহার হতে চলেছে এই ওরাল স্প্রে।’

ইন্ডিয়া ডায়াবেটিক ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডক্টর দেবেন গ্রহরাজ বলেছেন, ‘ওরাল ইনসুলিন নেওয়ার ১২ মিনিট পর এটি কাজ করা শুরু করবে।  আড়াই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। টাইপ ১ ও টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি দারুণ কার্যকর হবে।  তবে ইনসুলিনের দাম বা এটি কী মাত্রায় নিতে হবে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি সিপলা।

ভারতে কাজ শুরু করেছে দেশের প্রথম ডায়াবেটিস বায়োব্যাঙ্ক। চেন্নাইতে এই বায়োব্যাঙ্ক দেড় লক্ষ ডায়াবেটিস রোগীর রক্ত ও দেহকোষের নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমাদের দেশে ক্যান্সারের মতো বায়োব্যাঙ্ক থাকলেও ডায়াবেটিস বায়োব্যাঙ্ক কনসেপ্টটা নতুন। এখানে ডায়াবেটিস রোগীদের দেহের নমুনা, রক্ত ও রক্তকোষ সংরক্ষণ করে রাখা হয়।  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের দাবি, আগামীদিনে ডায়াবেটিসের চিকিৎসার পথ দেখাবে এই বায়োব্যাঙ্ক।

 সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতে প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আগামী ৫ বছরে আরও ১৩ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। এটা নিঃসন্দেহে বড় বিপদের আভাস। যা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক থেকে আম জনতা।