কলকাতায়নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: বড়দিন মানেই কলকাতা যেন আরেক ফিলিস্তিন! এ যেন একান্তই নিজের কারোর জন্মদিন সেলিব্রেশন, মেতে ওঠেন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আপামর জনগণ। আনাচে-কানাচে আলোর ঝলক, যেন এক অন্যরূপে বড়দিনে সেজে ওঠে কলকাতা। যার আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয় ডিসেম্বরের শুরু থেকেই। কিন্তু একি সেলিব্রেশন! তার আগেই ফাঁস আসল কাণ্ড। বিপুল মাদক সহ ধৃত-২।
কলকাতা পুলিশের জালে হাতেনাতে পাকড়াও।ধরা মাত্রই কলকাতা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় তাদের, চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে বড়দিন, বর্ষবরণের উৎসবের সময় রেভপার্টির জন্যই চলছিল আগাম প্রস্তুতি। সে কারণেই আনা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক। রবিবার ভোরবেলা দক্ষিণ কলকাতায় হানা দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নার্কোটিক্স শাখার আধিকারিকরা। সূত্রে খবর পেয়ে চলে অভিযান, আর তারপরেই জানা যায় সমস্ত ছক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুই জায়গায় এই অভিযান হয়।এদিন ভোরবেলা পঞ্চসায়র, নয়াবাদ এলাকার একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ পারভেজ নামের এক বছর সাতাশের এক যুবককে।
১০ তলার ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে হতবাক হয়ে যান তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাট থেকে ১৩.৫০ গ্রাম মডিএমএ ট্যাবলেট, ৫.৬১০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়। এর পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় প্রায় দুই কেজি গাঁজাও। পুলিশের আরও একট দল এদিন পৌঁছায় বাইপাসের ধারের মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির কাছে, সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রসেনজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তিকে।
সেখানে ১.৪১ গ্রাম মডিএমএ ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ধৃতদের উদ্ধার হওয়ার সামগ্রী সমেত লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।এখন প্রশ্ন একটাই সত্যি কি বড়দিনের সেলিব্রেশন? নাকি এই মাদক আনা হয়েছে অন্য উদ্দেশ্যে? এত বিপুল পরিমাণ মাদক কোথা থেকেই বা আমদানি করা হয়েছে এই সমস্ত প্রশ্নের খোঁজে টানা-জেরা চলবে ধৃতদের, বলেই সূত্রের খবর। সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ।