৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বেআইনি হোর্ডিং খোলার নির্দেশ হাই কোর্টের

breakingnews আইন কলকাতা জেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বেআইনি হোর্ডিং খোলার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। বিধাননগরের সব বেআইনি হোর্ডিংকে অবিলম্বে খোলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। হোর্ডিং ব্যবসায়ীরা কলকাতা হাই কোর্টে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেখানে মঙ্গলবার বিচারপতি পরিষ্কার জানিয়ে দেন আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বেআইনি সব হোর্ডিং খুলে ফেলতেই হবে।

এর আগে বিধাননগর হোডিং নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রীম কোর্টে বড় ধাক্কা খায় প্রাইভেট কোম্পানি। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কেই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। বিধান নগর হোর্ডিং মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিজ্ঞাপন কোম্পানি এবং প্রাইভেট এজেন্সি সুপ্রীম কোর্টে একটি এসএলপি (Special Leave Petition) দাখিল করেছিল। তারা অভিযোগ করেছিল যে, কলকাতা হাই কোর্ট তাদের প্রদর্শিত চুক্তি ও এগ্রিমেন্ট না দেখে একপক্ষভাবে অর্ডার পাস করেছে। দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে এটাই দাবি ছিল ওই প্রাইভেট সংস্থার।

আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2024/12/20/the-supreme-court-upheld-the-high-courts-judgment-by-rejecting-the-application-regarding-the-hoding-of-bidhannagar/

তবে, সুপ্রীম কোর্টে মূল মামলাকারির  আইনজীবী দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এই যুক্তি খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, সরকারি এবং প্রাইভেট সংস্থার মধ্যে যে কোন চুক্তি যদি সরকারি বিধির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে তাকে শূন্য বলে গণ্য করা হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কলকাতায় প্রায় ২ হাজার ৫০০টি দৃশ্যদূষণকারী বিজ্ঞাপন চালু থাকলে শহরের দৃশ্যদূষণ আরও বাড়বে।

আরও দেখুন: https://fb.watch/wG9d3wa_1b/

সুপ্রীম কোর্টের বেঞ্চের বিচারপতি বেলা এম. ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা, দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি মেনে নেন এবং মামলাটি খারিজ করে দেয়। তারা বলেন, এই সিপিএলের কোনও গুরুত্ব নেই। এর পাশাপাশি তাঁরা উল্লেখ করেন যে, বিএমসি এবং প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে দুর্নীতির যোগসূত্র স্পষ্ট। আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতা হাই কোর্টের পূর্ববর্তী রায় অনুসারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার কাজ অব্যাহত থাকবে। এই সিদ্ধান্তে প্রাইভেট এজেন্সির ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এবং হাই কোর্টের রায়ই বহাল থাকল।