নিউজ পোল ব্যুরো: স্থাবরের পর এবার অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর কাজ শুরু করল ইডি। লিপস্ অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির টাকা এর আগে বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।
মঙ্গলবার আদালতে ইডি জানিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে থাকা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর দু’কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। রিপোর্টে অনুযায়ী, সেই চার্জশিটের শুরুতেই আছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। ইডির দাবি, শুধুমাত্র খাতায় কলমে ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও এক সাইকেল সংস্থা সহ মোট পাঁচ সংস্থার থেকে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছে অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস।
ইডির চার্জশিটে দাবি, বৈদ্যুতিক কেটলি, চশমা এবং কার্ডের ব্যবসা সংক্রান্ত ইনভয়েস দেখিয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। দেখানো হয়েছে, কেবলমাত্র সূত্রে টাকা পেয়েছে সংস্থা। এই ইসুতেই চার্জশিটে এক লক্ষ্মী সাইকেল প্রাইভেটের মালিকের বয়ান দিয়ে ইডি জানিয়েছে ওই মালিক নাকি জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কাছে টাকা গিয়েছে ঠিকই। তবে কোনও ব্যবসা হয়নি তাঁদের মধ্যে। এই লক্ষ্মী সাইকেল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৪ হাজার ৬৮১ টাকা ঢুকেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থায়। সব মিলিয়ে ৪টি সংস্থা থেকে ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৩৫ টাকা ঢুকেছে। লক্ষ্মী সাইকেল প্রাইভেট লিমিটেড ছাড়াও নবীন এন্টারপ্রাইজ থেকে ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৯৭ টাকা, এগজটিক ইনভেনশন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ইন্টিগ্রেটেড ইনভেনশন ট্রেডিং সংস্থা থেকে ১০ লক্ষ ৪ হাজার ৫৫৮ টাকা তোলা হয়েছে।
ইডির তরফে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু সক্রিয় ভাবে ওই লেনদেনের প্রক্রিয়া দেখভাল করতেন। আগেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হয়েছে ইডির হাতে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অভিষেকের মা, বাবা এবং স্ত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে তিনিই ছিলেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর। ২০১৪ সালে যখন তিনি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিট থেকে লড়তে ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও।