নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ : আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাতসকালে আমবাগানে দাউদাউ করে জ্বলছে তরুণীর দেহ! ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচোলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেয় পুলিশকে। খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে পৌঁছায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করা হয়েছে তরুণীকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মালদহের চাঁচোলের মালতিপুরের বাসিন্দারা অন্যান্যদিনের মতোই বাড়ি থেকে কাজে বের হন। চাঁচোল ২ নম্বর ব্লক অফিসের কাছে যেতেই তাঁরা দেখেন এক ভয়ংকর দৃশ্য। একটি আমবাগানে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। পাশে পড়েছিল জুতো, সোনার কানের দুল, পোশাক। তাঁর সঙ্গে ছিল চাপ চাপ রক্তও। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন একটি তরুণীর দেহ জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেওয়া হয় থানায়। আইসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
তরুণীকে এলোমেলো পোশাকে দেখা যায়, সেই পোশাকে লেগে রয়েছে রক্ত। ধস্তাধস্তির চিহ্নও স্পষ্ট। শুকনো খড় ছড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই অঞ্চলে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের অনুমান, গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। কিন্তু কে ওই তরুণী? কেন এই নৃশংসতা? নেপথ্যে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার পরিচয় প্রকাশ্যে এলে রহস্যভেদ সহজ হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই নিকটবর্তী থানাগুলোতে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল কি না, তার ভিত্তিতে মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে তদন্তকারী দল।
