নয়াদিল্লি: গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে বাংলাদেশকে দুরমুশ করার পর এবার মিশন কোটলা। বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলতে রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। সূর্যকুমার যাদব ব্রিগেডের কাছে ফের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের প্রত্যাশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। কোটলাতেই সিরিজের ফয়সালার অপেক্ষায় তাঁরা।
এই আবহে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদব। ২২ বছর বয়সি এই পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেই মেডেন ওভার নেন। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে তাঁর সংগ্রহ একটি উইকেট। বিসিসিআই টিভিতে আর এক অভিষেককারী নীতীশ রেড্ডির সঙ্গে আলাপচারিতায় মায়াঙ্ক বলেন, ‘অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি। রান-আপে পৌঁছনোর পর ক্যাপ্টেন আমায় বলেছিল, নিজের ভাবনা মতো বল করতে। একজন বোলারের কাছে এই বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সে যখন অভিষেক ম্যাচে বল করতে চলেছে।’ অধিনায়কের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত নীতীশও। তাঁর কথায়, ‘সূর্য ভাই খুবই শান্ত ও ঠান্ডা মাথার মানুষ। দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাউকে কোনও চাপই টের পেতে দেয় না। আমরা উভয়েই দেশের হয়ে প্রথমবার খেললাম। ফলে স্নায়ুর চাপ ছিলই। কিন্তু ক্যাপ্টেন আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ায় তা কেটে যায়।’
চোটের জন্য গত আইপিএলে চারটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি মায়াঙ্ক। তারই মধ্যে ঘণ্টায় দেড়শো কিমিরও বেশি গতিতে বল করে নজর কাড়েন তিনি। মায়াঙ্কের কথায়, ‘চোট সারিয়ে উঠে ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়েছি। তাই সতর্ক ছিলাম, যাতে নিজেকে চাপে না ফেলে দিই। আসলে অভিষেক ম্যাচে নামার খবর শোনার পর গত চার মাসের স্মৃতিগুলি চোখের সামনে ভাসছিল। খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম। জানতাম, শুধু গতি দিয়ে হবে না, লাইন লেংথে ধারাবাহিকতা জরুরি।’ অভিষেক ম্যাচে ১৬ রানে অপরাজিত থাকা নীতীশও খুশি নিজের পারফরম্যান্সে। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার স্বপ্নপূরণ হল। স্নায়ুচাপ থাকলেও তা উপভোগ করেছি। আমার পরিবারের কাছেও এটা গর্বের মুহূর্ত।’ অভিষেক হওয়ার ফলে দু’জনেই এখন ‘ক্যাপড’ প্লেয়ার। ফলে আইপিএলে তাঁদের রিটেইন করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কমপক্ষে ১১ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
এদিকে, পদ্মাপাড়ের ব্যাটারদের কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ১৮০ রান করার ক্ষমতাই নেই বলে স্বীকার করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে এমন ব্যাটিংই করে যাচ্ছি আমরা। ঘরের মাঠে ১৪০-১৫০ রানের উইকেটে খেলি। তাই ব্যাটসম্যানরা জানেই না কীভাবে ১৮০ রান তুলতে হয়। অবশ্য শুধু উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই। স্কিল ও মানসিকতার ঘাটতিও এক্ষেত্রে দায়ী।’