নিউজ পোল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই তাঁর প্রথম পডকাস্ট সাক্ষাৎকার। জেরোডার সহ প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের উপলব্ধি ভাগ করে নিয়েছেন মোদী। তাঁর জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। মোদীর সাক্ষাৎকারের দু ঘণ্টার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
মোদীর শৈশব :
পডকাস্টে শৈশব সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করা হলে মোদী বলেন, একজন সাধারণ ছাত্র ছিলাম। আমি কোনোভাবেই লক্ষনীয় ছিলাম না। কিন্তু আমার একমাত্র শিক্ষক ভেলজিভাই চৌধুরী আমাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করেছিলেন। মোদী বলেন, আমার বাবাকে বলেছিলেন, সে অনেক প্রতিভাবান কিন্তু মনোযোগ নেই। কিন্তু যদি কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হত আমি তা থেকে পালিয়ে আসতাম। যেমন তেমন ভাবে উত্তীর্ণ করে যেতাম। আমি বেশ কিছু অন্যান্য পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলাম।
মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্ব :
মোদীকে তিন বারের প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রথমবার আমি দিল্লি নিয়ে ভাবতাম। দিল্লিকে বোঝার চেষ্টা করছিলাম। দ্বিতীয় বার আমার অতীতের অভিজ্ঞতা দিয়ে বিবেচনা করেছি। কিন্তু আমার ভাবনা পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল তৃতীয় বারে। এখন আমার মনোবল আরও জোরদার হয়ে গিয়েছে। দেশ নিয়ে দেশের মানুষদের নিয়ে ভাবতে চান মোদী। এটাও বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের সব সমস্যার সমাধান করে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চায়।
শৈশবের বন্ধু :
শৈশবের বন্ধু সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করা হলে মোদী বলেন,আমি আমার জীবন একজন ভবঘুরে মানুষের মত কাটিয়েছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছি। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম আমি আমার পুরনো বন্ধুদের আমন্ত্রণ করেছিলাম। সেখানে অনেকেই এসেছিল। কিন্তু ওরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখছিল। তাই আনন্দটা উপভোগ করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তুই বলে ডাকার কেও ছিল না। তাই অনেক বন্ধু হারিয়েছেন তিনি।
আমি মানুষ,ঈশ্বর নই :
আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হই প্রেস কনফারেন্সে আমি জানিয়েছিলাম, আমি সব দিক দিয়ে সব রকম চেষ্টা করব। কোন ত্রুটি থাকবেনা কোন প্রচেষ্টায়। কিন্তু আমি একজন মানুষ ঈশ্বর নই। আমিও ভুল করতে পারি। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভুল আমি করব না।
জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা :
গোধরা কাণ্ডের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মোদী বলেন। ২০০২ সালে গুজরাতে ভোট ছিল। আর সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মত গুজরাতের বিধায়ক হয়েছিলাম এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি আমি গুজরাত বিধানসভায় গিয়েছিলাম। গোধরায় কাণ্ড নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সংযত রেখেছিলাম।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুব ও তরুণ ছাত্ররা চন্দ্রযান এবং গগনযান মিশনের উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং আগ্রহ তৈরি করছে।
গান্ধী ও সাভারকরের আদর্শে মতামত :
মোদী আদর্শের চেয়ে আদর্শবাদের ওপর গুরুত্ব দিতে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, আদর্শ ছাড়া রাজনীতি করা যায় না,প্রয়োজন আদর্শবাদের। গান্ধী ও সাভারকরের পথ আলাদা ছিল কিন্তু তাঁদের আদর্শ ছিল ‘স্বাধীনতা’।
চিনা দূতাবাসে চিঠি :
বডনগরে থাকাকালীন আমি পড়েছিলাম চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং এখানে এসেছিলেন। তাঁর ভ্রমণকাহিনী নিয়ে একটি ছবি তৈরি করা হয়েছিল। আমি চিনা দূতাবাসে একটি চিঠি দিয়েছিলাম যেন সেই ছবিতে আমাদের গ্রামকে ভালোভাবে দেখানো হয়।