টেক্কা তো দূর! রাশিয়ার ধারেকাছেই পৌঁছায়নি কোনও দেশ

আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি

নিউজপোল ব্যুরোঃ বরফস্তুপে টাইটানিক ধ্বংস, সে তো ঘটেছিল সেই কতকাল আগেই! আজও সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার আতঙ্কে গায়ে কাঁটা দেয় গোটা বিশ্বের। তারপর থেকেই অর্থনৈতিক তালিকায় উপরে থাকা দেশগুলিতে যেন আরও বেশি হিরিক পরে এই সমস্যা সমাধানের। কিন্তু বর্তমানে এগিয়ে কারা?

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের আইসব্রেকার রয়েছে বর্তমানে যে জাহাজে তার নাম ফিফটি লেট পোবেডি। বিশালাকৃতির এই জাহাজটির কাজ বরফের আস্তরণ ভেদ করে এগিয়ে চলা। যাকে নিয়ে বর্তমানে গোটা বিশ্বের দরবারে বিশেষ নজির গড়েছে রাশিয়া।এই জাহাজটির বিশেষত্ব জানলে অবাক হবেন আপনিও।

জাহাজটির ওজন ২৫৮৪০ মেট্রিক টন। মানে বুঝতেই পারছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ওজনের এই রাশিয়ান জাহাজটির ওজন ঠিক কতটা। এটি আসলে একটি আধুনিক পারমাণবিক আইসব্রেকার। এই ফিফটি লেট পোবেডি জাহাজটিই বর্তমানে রাশিয়ার গর্ব। আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ান এই আইসব্রেকারকে এখনো পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশ টেক্কা দিতে পারেনি তাদের। এমন জাহাজ এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আর একটিও তৈরি হয়নি বলে দাবি রাশিয়ার।

এই জাহাজটি মূলত ব্যবহার করা হয় গবেষণার জন্য। পারমানবিক শক্তিসম্পন্ন হওয়ার সুবাদেই রাশিয়ান এই জাহাজটি এতো বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। আর্কটিক অঞ্চলে এটি বেশি কার্যকর। জাহাজটিতে রয়েছে দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর, যা প্রায় ৭৫ হাজার হর্সপাওয়ার শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম।

বিজ্ঞানীদের আর্কটিক বা এন্টার্কটিকা অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় এই জাহাজ। বরফের আস্তরণ ভেঙে প্রায় অসম্ভব জায়গায় পৌঁছানোই কাজ আইসব্রেকার জাহাজের। যদি অন্য কোনও জাহাজ বরফের মধ্যে আটকে পড়ে সেক্ষেত্রে জাহাজকে উদ্ধার করে আনার ক্ষেত্রেও আইসব্রেকার জাহাজের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও বরফের আস্তরণ সাফ করে আর্কটিক অঞ্চলে পণ্যবাহি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জন্য নিরাপদ যোগাযোগ চ্যানেল তৈরির জন্যও ফিফটি লেট পোবেডি জাহাজটিকে ব্যবহার করা হয়।