নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ আর মাত্র কিছুক্ষন তারপরেই শিয়ালদহ কোর্টে রায়দান আরজিকর হত্যাকাণ্ডের। যেখানে পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারনা ছিল মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় ধর্ষণ করেছিলেন মহিলা চিকিৎসককে। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণের পর যে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় সেখানে ছিল সঞ্জয়ের ইয়ারফোন। জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য হাসপাতালের রেস্ট রুম থেকে উদ্ধার হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ইয়ারফোন, ফলে শুরু থেকেই সন্দেহের তীর থাকে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও পরবর্তীতে সিসিটিভিতে দেখা যায় সঞ্জয় রাই বেরিয়ে যাচ্ছেন করিডোর দিয়ে।
সেই সঞ্জয় রাই বর্তমানে রয়েছেন প্রেসিডেন্সির জেলের ২১ নম্বর সেলে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁকে সেখান থেকে বের করে আদালতে তুলবে পুলিশ। তবে কি আজই আলাদতে তাঁর শেষ দিন?
একাধিক প্রমাণের ভিত্তিতে আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই এখন সিবিআই হেফাজতে। সঞ্জয়কে দফায় দফায় জেরা করা হয় আগেই জানায় পুলিশ।
সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা 64 (ধর্ষণ), ধারা 66 (মৃত্যু ঘটানো বা ক্রমাগত উদ্ভিজ্জ অবস্থার ফলে শাস্তি) এবং 103 (খুনের শাস্তি) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। U/s 64, 66 & 103(1) of BNS এই ধারাতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। এই ধারাতে চার্জ গঠন করা হয়।
এর আগে একবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গলা ফাটিয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। ফাঁসানো হচ্ছে সে কথাও বলেছিল সঞ্জয়। প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুকেই কারারক্ষীদের হাতজোড় করে আর্জি জানায় অভিযুক্ত সঞ্জয়। এছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসক ছাড়াও আরও অনেকেরই মতামত একা সঞ্জয় নয়, পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বড় মাথারা। এই বিষয়টিকে তুলে একাধিকবার আন্দোলন করতেও পথে নামেন সাধারণ মানুষ।
কিন্তু সেই সমস্ত ধাপ পেরিয়ে এই সমসাময়িক সময়ে দুর্নীতির জন্য গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ সরকার তিনিও জামিন পেয়ে যান। আরজিকর ঘটনার জন্যই নাম উঠেছিল তাঁরও। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ সহ চার্জশিট পেশ করা যায়নি শেষ পর্যন্ত ফলত জামিন পেয়ে যান তিনি। তবে অনেকেই তার আগে পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকেন। এখন প্রশ্ন একটাই তাহলে আসল দোষী কে? একা সেই সঞ্জয়? কি হতে চলেছে আজ তার সঙ্গে? ফাঁসি নাকি গোটা জীবন কাটবে আদালতে তা জানা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। দুপুর একটা নাগাদ শিয়ালদা আদালতে কড়া নিরাপত্তায় শুরু হবে সঞ্জয়ের ভাগ্য নির্ধারণ।