মহাকুম্ভে আগুন, সোমবার থেকেই কড়া নজরদারিতে

দেশ সংস্কৃতি

নিউজ পোল ব্যুরো: রবিবার অগ্নিকাণ্ডের জেরে বেশ কিছুক্ষণ ভয়ের বাতাবরণ ছড়ায় মহাকুম্ভ মেলায়। গতকাল রবিবার আগুন লাগে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায়। তখনই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘ ও রাজ্য প্রশাসন।
রবিবার দুপুরে কুম্ভমেলা চত্বরে শাস্ত্রী ব্রিজের কাছে আগুন লাগে সেক্টর-১৯ ক্যাম্পে।আগুনের লেলিহান শিখার ভয়াবহতা দেখে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে গোটা মেলায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মেলা সংলগ্ন গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়।

কুম্ভ মেলায় তীর্থযাত্রীদের সহযোগিতা করতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে কয়েক মাস আগে থেকেই নানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য উপযুক্ত টেন্ট তৈরির পাশাপাশি কুম্ভ মেলা পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন সংঘের কয়েকশ সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবক। রবিবার কুম্ভ মেলার ১৯ নম্বর সেক্টরের একটি তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে অন্য তাঁবুতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এই খবর পেয়ে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে গিয়ে তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান। দমকলের পক্ষ থেকে দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বহু মানুষ এখন কুম্ভ মেলায় থাকায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের উদ্ধার করে সংঘের সেল্টারে নিয়ে আসেন। সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, এদিনও আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্ঘের সন্নাসী স্বামী সত্যমিত্রানন্দ মহারাজ সহ অন্যান্য সন্নাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ ও উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামীর সত্যমিত্রানন্দ মহারাজ বলেন, আগুন লাগার সময় সংঘের সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আশেপাশেই তীর্থযাত্রীদের সহযোগিতার কাজ করছিলেন। তারাই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জ্বলন্ত তাঁবুর মধ্যে ঢুকে কার্বন ডাই অক্সাইড সিলিন্ডার দিয়ে প্রথমে আগুন নেভানো কাজ শুরু করেন, পরে ঘটনা স্থলে পৌঁছে যায় দমকল। কয়েকশো তাবু পুড়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়স্ত্রণে আসে পরিস্থিতি, কোনও হতাহতের খবর মেলেনি সেভাবে। বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে পরিস্থিতি।