নিউজ পোল ব্যুরো: শিশুমেলার আয়োজন কার হাতে তা নিয়ে রবিবার ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে বৈঠক ডাকেন সাংসদ দেব। আর সেখানেই তাঁর সামনেই দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। মুহূর্তের মধ্যে তা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। বাঁশ লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনার জের জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা পরে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন দেব। তাঁকে দেখেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয় স্টেডিয়ামের সামনে। এরপর বৈঠক শুরু হতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন উপস্থিত সদস্যরা।
সাংসদের সামনেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, বাঁশ লাঠি দিয়ে পেটানো চলতে থাকে। বৈঠকে বাঁশ-লাঠি কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই দেব অনুগামীরা আঙুল তোলেন শঙ্কর দলুই গোষ্ঠীর দিকে। বিশৃঙ্খলা তৈরি জন্য আগে থেকেই লাঠি-বাঁশ নিয়ে এলাকায় উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর-গোষ্ঠীর সদস্যরা, এমনই অভিযোগ তাঁদের। এমনকি ঘটনার সময় লাঠি নিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরেও ছুটতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোটি টাকার শিশুমেলা বর্তমানে ঘাটাল উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই মেলার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েই প্রতিবারই নানান ঝামেলা হয়। গত বছর মেলা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে ধস্তাধস্তি হয় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। তাই এবছর শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এই মেলার রাশ থাকবে ঘাটালের সাংসদের হাতে।
যা নিয়ে কিছুদিন আগেই সাংসদ দেব জানান, অরবিন্দ স্টেডিয়ামে তিনি একটি বৈঠক করবেন। সেখান থেকেই তৈরি হবে মেলার কমিটি। কিন্তু তার আগেই শঙ্কর দোলুই বৈঠক ডেকে বসেন। রবিবার সকালে দেব স্টেডিয়ামে পৌঁছতেই শুরু হয় ঝামেলা। যা পর্যবসিত হয় রক্তারক্তি কাণ্ডে। জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী দলীয় পর্যায়ের রিপোর্ট তলব করেছেন। অসমর্থিত সূত্রের খবর, শঙ্কর দুইয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার কাছে পুরো ঘটনার বিষয় জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। মানস ভুঁইয়া জানান তিনি রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন। এর পাশাপাশি প্রশাসনকে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া আইনী পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।