নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়াঃ বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে স্কুলের মধ্যে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হাওড়া থানা এলাকায়। অভিযোগ, হাওড়া থানার বাইপাস এলাকার একটি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে।
ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ওই স্কুলেরই সেক্রেটারি সাহেজাদা সেলিমের বিরুদ্ধে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ আলিরাজাকে মারধর এতটাই নৃশংস ছিল যে তৎক্ষণাৎ বমি ও মুখ কান দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। এরপর আহত ওই ছাত্রকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, আক্রান্ত ছাত্রের বাড়ি টিকিয়াপাড়া বেলিলিয়াস রোড সংলগ্ন এলাকায়। টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অনুরোধ করা হয় বিদ্যালয়ের তরফে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ছাত্রের অভিভাবক।
কিন্তু ছেলের করুণ অবস্থা মেনে নিতে পারেননি অভিভাবক। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হাওড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। আহত ছাত্রের বাবা মহম্মদ রিজয়ান বলেন, ‘ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে চিকিৎসকরা বলেছেন অপরেশন করতে হবে। তিনি দোষীর শাস্তি চান।’ তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনরূপ বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিছুই বলেননি তারা।
জানা যায় বিদ্যালয়ের তরফ থেকে আহত ছাত্রের বাবাকে বলা হয়েছে, মহম্মদ আলি রাজা পড়াশোনায় কমজোরি ছিল। এদিকে এই ঘটনায় স্কুল চত্বরে ও আক্রান্তের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাওড়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় দানা বাঁধছে সন্দেহের। রহস্যের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। শুধুমাত্র পড়া না পারার কারণেই কি এত ভয়াবহ শাস্তি? নাকি এর পেছনে রয়েছে কোন ব্যক্তিগত কারণ? একাধিক প্রশ্ন উঠছে এরই মধ্যে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।