নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: চলতি বছরে বন্যার কারণে ক্ষতি হয়েছে চাষের জমি। তাই এ বছর শীতকালীন সবজিরও দাম বেড়ে চলেছে। ওই জলা জমিতে নতুন করে চাষ করতেও হিমসিম খেতে হয়েছে চাষিদের। তবে এবার ভোগান্তির শিকার হলেন আলু ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে কর্ম বিরতিতে সামিল হয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। সোমবার মন্ত্রীর সাথে আলু ব্যবসায়ীদের বৈঠকে মেলেনি রফাসূত্র।প্রধানত, সোমবার রাত থেকেই রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী সংগঠন। বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত পাইকারি আলুর বাজার। প্রায় ২৫ হাজার আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে সামিল হয়ে বাজারে আলু সরবরাহের কাজ বন্ধ রেখেছেন আজ থেকে।অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের দাবি, এই ধর্মঘটের সুযোগে বেড়েই চলেছে আলুর দাম এবং পাইকারি বাজারে ৫০ কিলো আলুর বস্তা ১০০ থেকে ১৫০টাকা অবধি দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে খোলা বাজারেও এরইমধ্যে ৩টাকা করে বেড়েছে আলুর দাম। সিঙ্গুর বাজারে খুচরো আলু বিক্রেতা অমিত কোলের দাবি, ‘যে হারে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আগামী দিনে জ্যোতি আলু ৩৫টাকা ও চন্দ্রমুখী আলু প্রায় ৪০টাকা দরে বিক্রি করতে হবে না হলে লাভ থাকবে না। তবে আলুর দাম বাড়লেও আলু যে পাওয়া যাবে বাজারে তাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ বর্তমানে চাহিদা আছে কিন্তু আলুর যোগান নেই।’সাধারণ মানুষের মতানুযায়ী, এভাবে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করলে কি করে সংসার চলবে তাঁদের। গরিব থেকে মধ্যবিত্ত সবার পকেটেই পড়ছে টান। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল রফাসূত্র না বের হওয়ায় তাঁরা আজ থেকে কর্মবিরতিতে সামিল করছেন। আলু বর্হিরাজ্যে না যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার কথা আমরা বলেছিলাম। আমাদের মনে হয় এখনও ২.৫লক্ষ মেট্রিক টন আলু বর্হিরাজ্যে যাওয়া উচিত। সরকার যদি পর্যায়ক্রমে সেই আলু ছাড়ে তাহলেও এই সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হতো। প্রসঙ্গত, ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ থাকার কারণে মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয়েছে একাধিক আলু বোঝাই গাড়ি। তারপরেই সংশ্লিষ্ট দফতরের দ্বারস্ত হন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের তরফে কোনরকম আশ্বাস না পাওয়ায় আজ থেকে ধর্মঘটে সামিল হন ব্যবসায়ীরা। ফলে আলুর জোগানের অভাবে তৈরি হচ্ছে সমস্যা।