প্রাক্তন জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ কল্যাণের, বড় পদক্ষেপ সুপ্রীম কোর্টের

breakingnews আইন রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো, নয়াদিল্লি: বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বোসের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইয়ের ভিত্তিতে এই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহেতার ডিভিশন বেঞ্চ।

জানা গেছে, ঘটনাটি ২০২০ সালের। শ্রীরামপুর এলাকায় বিজেপির হয়ে প্রচার করার সময় কবীর এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁর প্রাক্তন শ্বশুর তৃণমূলের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, কবীরশঙ্কর বোস, তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। এর পাশাপাশি মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানিও করেন তিনি। সেই সময়ে কবীরের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআরও দায়ের করা হয়। রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বোস তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রীম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কবীরশঙ্কর বোসের সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীও তাঁরা। সেক্ষেত্রে সুপ্রীম কোর্ট রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর ভরসা রাখতে চায়নি। সেই কারণেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতিরা একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই কেসের যাবতীয় তথ্য সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতে।

প্রসঙ্গত, পেশায় সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী কবীরশঙ্কর ২০১০ সালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে প্রমিতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও তাঁদের সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১৭ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে রাজনীতির ময়দানে পা দেন কবীরশঙ্কর বসু। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন শ্বশুরের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হন কবীর। এবার প্রাক্তন শ্বশুরের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে কবীরশঙ্করের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।