সিলিকন ভ্যালি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের জোরে চলতি মাসেই উদ্বোধন হতে চলেছে নিউটাউনে ইনফোসিস ক্যাম্পাসের। প্রধানত ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ইনফোসিস জানিয়েছিল যে তারা কলকাতায় একটি সফটওয়্যার উন্নয়ন কেন্দ্র তৈরি করতে চায় এবং সেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কথা মত বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা আইটি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে বাংলার সিলিকন ভ্যালিতে তাদের প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করা যায়। জানা যাচ্ছে, কলকাতার নিউটাউনে ৫০ একর জমি নিয়েছে এবং এখানে প্রাথমিক ভাবে ১০০০ জন ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে নিউটাউন ইকো পার্কের ৪ ও ৫ নম্বর গেটের উল্টোদিকে ২০০ একর জমির উপর বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।
২০১৮ সালের ১৩ অগাস্ট এই ভ্যালির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে উইপ্রো, ইনফোসিসকে আরও জমি দেব, কিন্তু দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে অবশেষে কাজ শুরু করে ইনফোসিস। এই ক্যাম্পাসিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন ইনফোসিসে কর্মরত রাজ্যের যুবক- যুবতীরা নিজের রাজ্যে ফিরে এসে চাকরি করতে পারবেন। তেমনই রাজ্য সরকারের জন্যও যে এটি একটি বড় সফলতা হিসেবে প্রমাণিত হবে । গত বছরের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা আইটি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের খবর শুনিয়েছিল কোম্পানি। রাজারহাটের সহ নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ৩-তে চলছিল নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। এই ক্যাম্পাসের নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
নিউজ পোলকে কল্যাণ কর(সেক্টর ফাইভ স্টেকহোল্ডার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট) বাবু জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে ইনফোসিস আনার চেষ্টায় আমরা সফল হয়েছি। কলকাতায় আসা মানে একটা ট্যালেন্টেড সংস্কৃতি দেওয়া এবং এর সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিকে নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা। আমাদের ইনফোসিসের একটা সুবিধে হল বেশি জমি লাগে না। তবে সরকারের উচিত একটা ভালো এনভায়রনমেন্ট ক্রিয়েট করা। কারণ এখানে অধিকাংশ মেয়েরা কাজ করে সেখানে আশা করা হবে সরকার যেন সবরকম সুবিধা আমাদের দেন।